বার্তা ডেস্ক ॥ ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে না এমন খবরে বরিশালের বাজারে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন মোকামে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে বাজারে।
তবে কারণ ছাড়াই দাম বাড়ায় হতবাক হয়েছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, কারণ ছাড়াই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। সরকারের উচিত দ্রুত বাজার মনিটরিং করা।
রোববার (২৪ মার্চ) বরিশাল নগরের পেঁয়াজ পট্টি এলাকা ঘুরে জানা গেছে, রমজান শুরুর পর থেকেই ধাপে ধাপে কমতে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। শেষ পর্যন্ত শনিবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে আমদানি কম, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হতে পারে এমন খবরে বরিশালে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ফলে একদিন পরে রোববারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৭০ টাকা কেজিতে।
পেঁয়াজের দাম বেড়েছে স্বীকার করে পোর্টরোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মো. সজল হোসেন জানান, শনিবারও ৪০-৫০ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ তা বেড়ে গেছে। আজ পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। আমি ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। গত দুদিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে না এমন খবরে দাম বেড়েছে। শুধু দামই বাড়ে নাই; একইসঙ্গে আমদানিও কমেছে।
ক্রেতা সুমন খান জানান, গত পরশু বাজার করতে এসে দেখেছি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা। ভেবেছিলাম আরও কমবে, তাই বেশি কিনি নি। কিন্তু আজ বাজারে এসে দেখলাম সেই পেঁয়াজের কেজি বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা।
এ বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায়, খুচরা বাজারেও বেড়েছে।