মোঃ জিয়াউদ্দিন বাবুঃ ডিম নিয়ে পুরোপুরি স্বস্তি না ফিলতেই আবার লাগামহীন হয়ে পড়েছে ডিমের দাম। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়, পাড়া-মহল্লায় দোকান গুলোতে দাম নেয়া হচ্ছে আরো বেশী। বিশ্ব ডিম দিবসে জানানো হয় ১টি ডিম উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ আছে।
এ দিকে ডিমের পাশপাশি মাছ, সবজি, চিনি সহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বাড়তি। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষদের। তারা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। হঠাৎ করেই বাজারে মাছ ভেদে দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাছ ব্যাবসায়ীরা বলেছেন গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। এ জন্য চাপ পড়েছে অন্য মাছের উপর। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে বলে তারা জানান। ডিমের দামও এ কারনে বেড়ে গেছে।
গতকাল বরিশাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে রুি কাতলা ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। ৩১০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ট্যাংরা মাছ ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ শত থেকে ৯০০ টাকা। পাপদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২ শত থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কৈ মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ শত টাকা। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি নেই। বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করল্লা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ১ শত টাকা, মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, আলু প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা রশিদ বলেন প্রতি বছর শীত মৌসুমের আগে সবজির বাজার চড়া থাকে। তবে নভেম্বর থেকে শীতকালীন আগাম জাতে সবজি বাজারে আসা শুরু হবে। তখণ সবজির দাম কমতে থাকবে বলে আশা করছি।
এদিকে পেয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চিনির দাম খোলাবাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। অপর দিকে বেড়েছে মাংসের দাম। লেয়ার মুগরী ৩১০ টাকা, ব্রয়লার ১৭০ টাকা, সোনালী ১৯৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬ শত থেকে ৭ শত টাকা, খাসির মাংস ৮ শত টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।