আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

কলাপাড়ায় ১৮০ পরিবারের পুনর্বাসনের দাবি


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ ১:২৯ অপরাহ্ণ কলাপাড়ায় ১৮০ পরিবারের পুনর্বাসনের দাবি
Spread the love

কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ কলাপাড়ার চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের রাবনাবাদ নদীর অদুরেই বাড়ি জেলে নুর আলম হাওলাদারের। শুধু নদীতে মাছ শিকার নয়, কখনও কৃষক হিসেবেও কাজ করছেন। কিছু জমিসহ বাড়িঘর নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট আশুগঞ্জ বিদ্যুত প্লান্টের অধিগ্রহণের আওতায় পড়েছে।

পাওয়ার প্লান্টের ঠিকাদার অধিগ্রহনকৃত জমির উন্নয়ন কাজ করছেন। সীমানা চিহ্নিত করতে রিংবেড়িবাঁধ করা হচ্ছে। ফলে প্রায় অর্ধশত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে জমি কিংবা বাড়ি-ঘরের ক্ষতিপূরণ বাবদ কোন টাকা পাননি নুর আলম। একই দশায় পড়েছেন কৃষক কাম জেলে জসিম উদ্দিন, রুহুল আমিন, আবু কালাম, সুলতান হাওলাদার। এদের কেউ কেউ ঘরের ক্ষতিপুরনের টাকা পেয়েছেন। এভাবে রাবনাবাদ পাড়ের কাছাকাছি দেবপুর ও চালিতাবুনিয়া গ্রামের ৮৮ টি পরিবারের বাড়ি-ঘর অধিগ্রহনের আওতায় পড়েছে।

এসব পরিবারের দাবি তাদের আগে পুনর্বাসন করা হোক। আর যেহেতু তাদের বসতবাড়ি চম্পাপুরে, কর্মস্থল চম্পাপুরে; পুনর্বাসন পল্লীও করা হোক চম্পাপুরে। বর্তমানে এসব পরিবারের সদস্যরা আছেন বিপাকে। উল্লেখ্য ১৩২০ মেগাওয়াট আশুগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে ধানখালী, দেবপুর, পাঁচজুনিয়া ও চালিতাবুনিয়া মৌজা থেকে মোট ৯২৫ একর কৃষি জমি অধিগ্রহণের আওতায় নেয়া হয়েছে।

যার মধ্যে ক্ষতির শিকার হয়েছে ১৮০টি পরিবার। যাদের পুনর্বাসনের জন্য ধানখালী ইউনিয়নের ধানখালী মৌজায় ১৫ একর ৩৭ শতক জমি অধিগ্রহণের আওতায় নেয়া হয়েছে। যেখানে এসব পরিবারের বসবাসের জন্য আধুনিক সুবিধা সংবলিত ফ্ল্যাট টাইপের একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করা হবে।

আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেড কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ গোলাম রব্বানী আরও জানান, ১৮০ পরিবারের পুনর্বাসন পল্লী নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১১ মাসের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন হবে।

উল্লেখ্য এই বিদ্যুত প্লান্ট কয়লা ভিত্তিক নয়। এটি এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।