ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশে গত কয়েকমাসে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি জেট ফুয়েলের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এতে দফায়-দফায় ভাড়া বাড়িয়ে বিপাকে আছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো। অন্যদিকে, একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একই সময়ে তুলনামূলক বেশ কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে। বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর দাবি, অপারেটিং কস্ট, সারচার্জ, স্পেসচার্জ, ফুয়েলের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রীদের চাপ কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে এখন সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএস-বাংলা এবং নভোএয়ার যাত্রী পরিবহন করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে করে ঢাকা থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যেতে একজন যাত্রীকে গুণতে হচ্ছে চার হাজার ৮শ টাকা। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে জনপ্রতি তিন হাজার ৭শ টাকা, ঢাকা-সিলেট রুটে তিন হাজার ৫শ টাকা, ঢাকা-রাজশাহী রুটে তিন হাজার ৫শ টাকা, ঢাকা-সৈয়দপুরে রুটে তিন হাজার ৪৯০ টাকা,ঢাকা-যশোরে রুটে তিন হাজার ১৯৫ টাকা ও ঢাকা-বরিশাল রুটে তিন হাজার টাকা নিচ্ছে সরকারি এই এয়ারলাইন্সটি। পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করলে মিলছে ১০ শতাংশ ভাড়া ছাড়। অন্যদিকে, বেসরকারি ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ার এয়ারলাইন্স ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যাত্রীপ্রতি সর্বনি¤œ ভাড়া নিচ্ছে পাঁচ হাজার ৪৯৯ টাকা। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে জনপ্রতি তিন হাজার ৬৯৯ টাকা, ঢাকা-সিলেটে রুটে তিন হাজার ৪৯৯ টাকা, ঢাকা-সৈয়দপুরে তিন হাজার ৪৯৯ টাকা, ঢাকা-যশোরে তিন হাজার ১৯৯ টাকা, ঢাকা-রাজশাহী রুটে চার হাজার ৪৯৯ টাকা ও ঢাকা-বরিশালে রুটে তিন হাজার ২শ টাকা ভাড়া নিচ্ছে বেসরকারি এই এয়ারলাইন্সগুলো। পাশাপাশি অ্যাপস বা ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে বেজ ফেয়ারে রয়েছে ১০ শতাংশ ছাড়। যাত্রী সংকটের কারণে গত ১ আগস্ট থেকে বরিশাল-ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রেখেছে নভোএয়ার। পাশাপাশি একই রুটে যাত্রী সংকটে ভুগছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাপরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমান বাংলাদেশ কিছু সুবিধা তো পাচ্ছেই। তবে, সেটা আমাদের একমাত্র সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে একই পরিচালনা ব্যয়ে কম ভাড়া রাখা। অন্যদিকে, এখন মূলত বিমানের অফ সিজন এটাও একটা কারন। একইসাথে, অভ্যন্তরীণ রুটের ক্ষেত্রে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, বর্তমানে বিমানের জ্বালানি প্রতি লিটারের মূল্য ১২৫ টাকা। যা বছরখানেক আগেও ৫০ টাকার আশপাশে ছিল। পাশাপাশি যশোর, বরিশাল রুটে পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় যাত্রীদের হাতে উল্লেখযোগ্য বিকল্প অপশন এসেছে। ফলে, আমাদের বাধ্য হয়ে ভাড়াও কমাতে হয়েছে৷ কিন্তু, সে অনুপাতে ব্যবসা হচ্ছে না।