নলছিটি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটিতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে উপজেলার আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রীটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে দপ্তরি আলমগীর হোসেন খোকন সিকদারকে আটক করে পিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে আলমগীরের বড় ভাই একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় এলাকাবাসী। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে স্থানীয়রা বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।
পুলিশ ও ছাত্রীটির স্বজনরা জানায়, বিদ্যালয়ের দপ্তরি আলমগীর হোসেন খোকন সিকদার পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে শুক্রবার সকালে প্রাইভেট পড়ায়। এক পর্যায়ে আলমগীর এক ছাত্রীকে কৌশলে অন্য কক্ষে পাঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসে থাকতে বলেন। পরে সে কক্ষের দরজা আটকে এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা করে। ছাত্রীটির চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আলমগীর সিকদারকে বিদ্যালয়ের কক্ষের মধ্যেই আটক করে রাখে। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত দপ্তরির ভাই জাহাঙ্গির হোসেন সিকদার এসে ধর্ষণচেষ্টাকারীকে লোকজনের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীটির স্বজনরা ও স্থানীয় লোকজন বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে অভিযুক্ত দপ্তরিকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। অভিযুক্ত দপ্তরি পলাতক রয়েছে। ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।