আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীতে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বিস্তৃর্ণ এলাকা


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২ ৩:১৯ অপরাহ্ণ কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীতে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বিস্তৃর্ণ এলাকা
Spread the love

পাভেল মিয়া, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বন্যা পরবর্তী ধরলা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের বিস্তৃর্ণ এলাকা। অব্যাহত ভাঙ্গনে যাতায়াতের রাস্তা, বসতভিটা, ফসলি জমি নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। নিঃস্ব হচ্ছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ব্যাপক হারে কমছে কৃষকদের চাষাবাদের জমি। ধরলার কড়াল গ্রাসে দিনেদিনে পাল্টে যাচ্ছে পূর্ব ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের মানচিত্র।

ভাঙ্গন কবলিত পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম ও মজিবর রহমান বলেন, ধরলার অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে আমরা সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আমাদের গ্রামের ৬ জনের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মোস্তফা সরকার ও আবুল হোসেন বলেন, আমাদের এখানকার শত শত একর আবাদি জমি ধরলার পেটে চলে গেছে। আমাদের যাতায়াতের প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। আমাদের এখন জমির আইল দিয়ে চরম ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে চর ধনিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে নিলে বাচ্চাগুলোর কি হবে, কোথায় পড়বে তারা?

ধরলার ভাঙ্গনে বসতবাড়ি হারানো হাফেজা বেগম বলেন, দীর্ঘদিনেও ভাঙ্গনরোধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে আমরা আজ নিঃস্ব। আমার স্বামীর নিজস্ব কোন জমিজমা নাই। মামা শ্বশুর আমাদের বাড়ি করার জন্য ১০শতাংশ জমি দিয়েছিল তাও নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন সন্তানদের নিয়ে কোথায় থাকবো?

নূর মোহাম্মদ (৬৫) বলেন, আমার সাত বিঘা ফসলি জমি ছিল। তাতে চাষাবাদ করে সংসার চালাতাম। ধরলার ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমার সমস্ত জমি নদীর পেটে চলে গেছে। আজ আমি নিঃস্ব। খাব কি, থাকবো কোথায়? আমার মত এখানে অনেকেই জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে।

পূর্ব ধনিরাম গ্রামের রহিমুল্লাহ ও জাইদুল হক বলেন, নদীর ভাঙ্গনের তীব্রতা খুব বেড়েছে। গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে আমাদের সব আবাদি জমি নদীতে চলে গেছে। ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে নদী এখন আমাদের বাড়ির কাছে চলে এসেছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমাদের অনেকের বাড়িভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস বলেন, ওই এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙ্গনরোধ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।