ফিরোজ গাজী ও কাজী রাফি ॥
খুশির ঈদকে পুঁজি করে বেপরোয়া নোট বাণিজ্যে মেতে উঠেছে নগরীর ফুটপাথে থাকা টাকা পরিবর্তনকারী ব্যবসায়ীরা। নির্দৃষ্ট কোন নীতিমালা বা নিয়ম না থাকায় অস্বাভাবিক মূল্যে ব্যবসা করছে এ ধরনের ব্যবসায়ীরা।
ঈদ উপলক্ষে বাজারে ছাড়া নতুন নোট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ টাকার নতুন নোটের বান্ডিলের প্রতি হাজারে দিতে হচ্ছে দুই শত থেকে আড়াই শত বাড়তি টাকা। তবুও ঈদের আমেজে যেন ভাটা না পড়ে এ কারণে বাড়তি টাকা দিয়েও সাধারণ জনতা নিচ্ছেন কচকচে নতুন নোট।
তবে এই সুযোগকে যথার্ত কাজে লাগাচ্ছে অসাধু, লোভী ও কুচক্রি ব্যবসায়ী মহল। গতকাল শনিবার বেলা ১২ টার পর থেকে ব্যাংক বন্ধ থাকায় এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে মুনাফা লোভী এ ব্যবসায়ী চক্র।
গতকাল বিকেলে নগর ভবন সংলগ্ন দক্ষিণচকবাজারে গিয়ে দেখা যায়, দশ টাকার নতুন নোটের এক হাজার টাকা নিতে খরচ করতে হচ্ছে ১২শ থেকে ১২৫০ টাকা। এছাড়া বিশ টাকার নোটে হাজারে ১শত থেকে দেড়শত টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে। একশত টাকার নতুন নোটে হাজারে খরচ করতে হচ্ছে ১১শ টাকা।
টাকা পরিবর্তন করতে আসা এক ব্যক্তি জানান, ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের সালামি দেওয়ার জন্য নতুন টাকা নিতে এসেছি, কিন্তু এসে যা দেখলাম তাতে নতুন নোট নেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তবে যেহেতু ঈদের আমেজ বলে কথা তাই বাড়তি খরচ গেলেও নতুন নোট নিয়েই বাড়ি ফিরবো।
বাড়তি টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা যে বাড়তি টাকা নিচ্ছি তা বেশি নয়। সারা বছরে দুই একবার এই টাকা পরিবর্তনের চাহিদা বেশী থাকে। বাকি সময়ে তেমন একটা ব্যবসা করতে পারি না।
বরিশালের সচেতন মহল মনে করেন, এদের ব্যবসার একটা নীতিমালা তৈরি প্রয়োজন অথবা সহনীয় পর্যায়ে নোটের বাণিজ্য করছে কিনা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের তদারকি প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।