আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ ১:৪২ অপরাহ্ণ শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চাঁদপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। এসময় লিখিত প্রতিবাদ পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইউসুফ গাজী।

তিনি বলেন, বিগত ১৩ বছরে ডা. দীপু মনি এমপি’র নির্বাচনী এলাকায় বহু সরকারি স্থাপনা নির্মিত হয়েছে এবং এ সকল স্থাপনার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। চাঁদপুরে কোন অধিগ্রহণকৃত জমিতে কোথাও কখনো ডা. দীপু মনি বা তার পরিবারের কোন জমি কখনো ছিল না। তার উদ্যোগে চাঁদপুর ও হাইমচরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে জমি মূল্য শতাংশ প্রতি ৫ হাজার টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। সরকারের নিকট হতে ক্ষতিপূরণ লাভের আসায় বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে সেখানে ডা. দীপু মনি বা তার পরিবারের কোন জমি ক্রয় করেননি।

গত ১৩ বছরে নিয়োগে, কোন টিআর, কাবিখা বিতরণে কোন প্রকল্পের টেন্ডার পক্রিয়া বা অন্য কোন কার্যক্রম ডা. দীপু মনি তার পরিবারের অস্বচ্ছতা বা অনিয়ম কোন দিন ছিল না। এ বিষয়ে জেলার সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ জেলার রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ অবগত আছেন। কি উদ্দেশ্যে হঠাৎ করে ডা. দীপু মনিকে অসৎ প্রতিপন্ন ও হেয় করবার চেষ্টা করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন। যে বা যারা কোন কোন গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডা. দীপু মনি বা তার পরিবারকে জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করছে তাদের উদ্দেশ্য উদঘাটিত হওয়া অতিব জরুরি।

এটি শুধু ডা. দীপু মনি’র সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা নয়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন ও রাজনীতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার কিংবা শেখ হাসিনা সরকারকে অপদস্থ করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা বলেও অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হননি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। তাদের দু’জনকে এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদে উপস্থিত হওয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসায় পাঠানো হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসডু পাটওয়ারী, মুজিব পাটওয়ারী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানকে। ৩ দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোন সাড়া না দেয়ার কারণে আওয়ামী লীগের একাংশ এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইউসুফ গাজী বলেন, দলের যুগ্ম সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের বিষয়ে যার কাছে অভিযোগ করেো, তিনি আমাদের জেলা সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ। তিনি নিজেই এই মিথ্যাচারে অংশ নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। তাই আমরা প্রয়োজনে সময়মত কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করবো এবং দলীয়ভাবে বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন করবো।

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে দুর্নীতির যে প্রসঙ্গ এখন আলোচনার ঝড় বইছে এটিতে ডা. দীপু মনি পরিবারের কেউ জড়িত নয়। এই বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমির মূল্য নির্ধারণ জমির মালিকের করার সুযোগ নেই। জেলা প্রশাসকই ১৯৩ কোটি ও ৫৫৩ কোটি টাকা প্রাক্কলন তৈরি করেছেন।

প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, শরীফ চৌধুরী, শহীদ পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, এএইচএম আহসান উল্যাহ, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন শান্ত, আল-ইমরান শোভন, আলম পলাশ, কাদের পলাশ, ইব্রাহীম রনি, ডালিম, মিজান লিটন ও কে এম মাসুদ প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাড. মজিবুর রহমান ভুঁইয়া, চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আলী এরশাদ মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী বেপারী, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, মোহাম্মদ আলী মাঝি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাড. হেলাল হোসাইন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন খান প্রমুখ।