আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

তুরস্কে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২১ ২:০৭ অপরাহ্ণ তুরস্কে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
Spread the love

নিউজ ডেস্ক:

তুরস্কে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশে দূতাবাস, আঙ্কারা।

সকালে রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর আবক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দূতাবাসের ’বিজয় একাত্তর’ মিলনায়তনে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান রাষ্ট্রদূত ও মিশন উপ-প্রধান মো. রইস হাসান সরোয়ার।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়াংশে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনাপর্বে আংকারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব ল্যাংগোয়েজ, হিসটোরিক এন্ড জিওগ্রাফি, ইস্টার্ন ল্যাংগোয়েজ এন্ড লিটারেচর ডিপার্টমেন্ট এর প্রফেসর ড. মেরথাম দুনদার এবং বাসক্যানত ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. হালুক কারাদাগ বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন এবং তুরস্ক-বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ার বিস্তারিত বিবরণ উপস্থিত অতিথিদের সম্মুখে তুলে ধরেন।

তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশীদার হওয়ার জন্য সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশী ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ, শিশু এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে দিবসের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে। পরিশেষে, অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন।