নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥
পর্যটকের পদভারে কুয়াকাটা এখন মুখরিত রয়েছে। শীত আসতেই পর্যটকের আগমনে সেখানকার ব্যবসায়ীদের মধ্যেও প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে।
করোনাকালের ধকল কাটিয়ে ওঠার আশাব্যক্ত করেছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
শুক্রবার সকাল থেকেই পর্যটক দশৃনার্থীর পদভারে মুখরিত হয়ে আছে কুয়াকাটা। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট সেন্টার কোথাও কোন কক্ষ খালি নেই। কাঙ্খিত পর্যটকের দেখা পেয়ে সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে স্বস্তিতে রয়েছেন। না বেশি শীত; না গরম, এই সময়কে কাজে লাগিয়ে পর্যটক দর্শনার্থীরা আমুদে সময় কাটাচ্ছেন কুয়াকাটায়।
একই স্পটে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দেখা পাওয়ার এখনই মোক্ষম সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না অধিকাংশ পর্যটক। করোনাকাল কাটানোর ঘরের বদ্ধ সময় থেকে পাবিারিক ভাবে বেড়িয়ে আসা প্রকৃতি প্রেমিক মানুষগুলো যেন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে আছেন। সকাল-সন্ধ্য কিংবা রাত কীভাবে পার করছেন তা যেন বুঝতেই পারছেন না আগতরা। কুষ্টিয়া থেকে আসা পর্যটক তানভীর হোসেন জানান, দেড় বছর পরে পারিবারিকভাবে আসছেন কুয়াকাটায়। বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ ডিসেম্বর মাস। এ সময়টা ভালোই কাটছে কুয়াকাটায়। ফাতড়ার বনাঞ্চল দেখেছেন। মিশ্রিপাড়ার বৌদ্ধ বিহার দেখেছেন। দেখবেন গঙ্গামতিসহ আরও অনেক কিছু এমন আশাবাদ ব্যক্ত করলেন।
হোটেল গ্রেভার ইন এর অপারেশন ম্যানেজার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মিতুল জানালেন, ভালোই কাটছে মৌসুম। ১৮ তারিখ পর্যন্ত কোন কক্ষ খালি নেই। পুরো ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯০ ভাগ কক্ষ আগাম বুকিং থাকার কথা জানালেন তিনি। ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন কুয়াকাটা (টোয়াক) এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, সকল হোটেল-মোটেল এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ রয়েছে। আগামি তিন-চার মাস এমন কাটলে করোনাকালের ধকল কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিচ্ছন্ন কুয়াকাটা সৈকতে মনলেঅভা দৃশ্য সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত ও সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায় রাখাইনদের কৃষ্টিকালচার দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রকৃতি প্রেমিক এবং ভ্রমন পিপাষু মানুষ মুখিয়ে থাকেন। আর সেই মোক্ষম সময়টা হচ্ছে এখন। প্রত্যুষে, সূর্যোদয়ের আগে থেকে গভীর রাত অবধি এখন কুয়াকাটা পর্যটকের হৈ হুল্লোরে মাতোয়ারা থাকছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য তারা সর্বদা সজাগ রয়েছেন। কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, কুয়াকাটায় পর্যটকের নিরাপত্তার পাশাপাশি সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তারা সচেষ্ট রয়েছেন।