ঢাকা
মোঃ জিয়া উদ্দিন বাবু:
বরিশালের বাবুগঞ্জে স্বামীকে হত্যার অপরাধে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বরিশাল জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক টিএম মুসা আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, বাবুগঞ্জের দক্ষিণ চাঁদপাশার আঃ সত্তার হাওলাদারের মেয়ে শারমিন জাহান সুমা ওরফে ময়না এবং পরকীয়া প্রেমিক বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার আঃ মন্নান ওরপে মনা ফকিরের ছেলে মনির হোসেন ওরপে উজ্জল ফকির।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শারমিন জাহান সুমা ওরফে ময়না (৩২) সাথে ২০০১ বিয়ে হয় কবিররুল ইসলাম লিটনের সাথে। দাম্পত্ত জীবনে তাদের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। কবিরুল ইসলাম লিটন দুবাইতে গেলে আসামী মনির হোসেনের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরেন লিটনের স্ত্রী। কবিরুল ইসলাম লিটন ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দায় আসামী মনির হোসেন ওরপে উজ্জল ফকিরের বাসায় বেড়াতে আসলে অপরহণের পর হত্যাকরে কীর্তনখোলা নদীতে লাশ ফেলে দেয়। এরপর ওই বছর ৩ এপ্রিল লিটনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই বন্দর থানার এসআই হেমায়েল কবির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারী সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তে পরকীয়ার কারনে ভিকটিম কবিরুল ইসলাম লিটন খুন হয় প্রমাণিত হয়। পরে ময়না এবং মনিরকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত ২৪ জনের স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় প্রদান করেন। পরে আসামীদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামী আবদুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে আতিকুর রহমান সবুজ কে খালাস দেওয়া হয়।
