বরিশালে নির্বাচনী সহিংসতা, আহত ৭

স্টাফ রিপোর্টার ॥

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আন্তত সাতজন আহত হয়েছে। উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে সোমবার দিনগত রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- শ্রীপুর ইউনিয়নের মাসুদ মোল্লা, মাইদুল মোল্লা, মারজান মোল্লা ও মো. ফিরোজ।

স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও হারুন মোল্লা ও কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের সমর্থকরা শোডাউনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই দুই নেতা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। এছাড়া পূর্ব থেকে হারুন মোল্লা ও কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের মধ্যে বিরোধ চলছে। কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল সোমবার নেতাকর্মীদের নিয়ে মাহফিলে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তারা রাত ৯টার দিকে হারুন মোল্লার বাড়ির সামনে পৌঁছালে সংঘর্ষে জড়িতে সাত জন আহত হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নোমান মোল্লা জানান, সোমবার রাতে তার ওয়ার্ডে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল ৪-৫টি মোটরসাইকেলযোগে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাহফিলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। হারুন মোল্লার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার ছেলে তানভীরের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন রুবেল ও তার নেতাকর্মীদের পথরোধ করেন। তারা রুবেলকে মাহফিলে যেতে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে রুবেলের অনুসারী কবির হোসেন খানসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন।

হারুন মোল্লা জানান, গত নির্বাচনে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন রুবেল। তারপর থেকেই তিনি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছেন। আসন্ন নির্বাচনে রুবেল প্রার্থী হবেন এমন ঘোষণা দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সোমবার রাতে মাহফিল চলাকালে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে ওই এলাকায় প্রবেশ করে ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এতে তার ৪-৫ জন অনুসারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান হারুন মোল্লার ছেলে তানভীরের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন হামলা চালিয়েছে। হামলায় রুবেলের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হলে তাদের বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হারুন মোল্লা ও তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী রুবেলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে।