বার্তা ডেস্ক ॥ পিরোজপুরের নাজিরপুরে ওঝার ঝাড়-ফুকে মৃত্যু! আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গত (২৬ মার্চ) মঙ্গলবার মৃতের ভাই মো. আকবর আলী গাজী বাদী হয়ে নামীয় ৩ জন এবং ৪ জন অজ্ঞাতনামা দিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
মৃত আকুব্বর গাজী ওরফে আকু উপজেলার দেউলবাড়ী ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার গাজীর ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের পূর্ব পেনাখালী গ্রামের মৃতের শ্যালক মোঃ কবির সুতারের বাড়িতে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত আকুব্বর গাজী ওরফে আকু (৪৩) তার ভাই আকবরকে দ্বিতীয় রমজানে একটা চিরকুটের মাধ্যমে বলেন, ” আমি শপনে দেখেছি আমাকে মেরে পেলছে, মায়ের শাতে আর দেখা হবে না, হাজাভাই আমার ছেলে মেয়েদের আপনার কাছে রাখবেন ”।
গত (২৫ মার্চ) আমার ভাই অসুস্থ হলে তার স্ত্রী শাহিনুর আক্তার ওই রাতে নুর ইসলাম ওরফে নুরা (ওঝা) নিকট ঝাড়-ফুক দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। ওঝা (নুরা) মৃত আকুকে ঝাড়-ফুক দেওয়ার নাম করে খালে নামিয়ে চুবিয়ে গোসল করায়।
গত (২৬ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে আমার নিকট সংবাদ আসে আমার ভাই মারা গেছে। খবর পেয়ে আমার চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলাম গাজী ও ওসমান গণি ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখে আমার ভাইয়ের লাশ তার ফুফাত শ্যালক কবির সুতারের বাড়ির পশ্চিম-উত্তর পাশে ছোট একটি আমরা গাছের চিকন ডালে তোয়ালে দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। আমার ধারনা বিবাদীরা একত্রিত হইয়া আমার ভাইকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এছাড়া স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ওই ওঝা একজন কালো জাদুকর তান্ত্রিক। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে নাজিরপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠায় এবং সুরতহাল শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
এবিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার জানান, এবিষয়ে মৃতের ভাই একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।