rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে ছোট ছোট যানবাহনে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে মানুষ আসছে। সেখান থেকে ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফেরিঘাট থেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় তারা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত মাহেন্দ্র, প্রাইভেটকারে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন। শুক্রবার (৭ মে) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের একটি রো-রো ফেরিতে ছয় শতাধিক যাত্রী দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছায়। পাটুরিয়া থেকে ভাষা সৈনিক বরকত নামের একটি রো-রো ফেরিতে সহস্রারাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ফেরিতে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি অনেক যাত্রীদের। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা যাত্রী মো. আইযুব আলী বলেন, আজ শুক্রবার ছুটির দিন তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে মাগুরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। তাদের পৌঁছে দিয়ে আমি ঢাকায় ফিরবো। দৌলতদিয়া থেকে প্রাইভেটকারে ৫০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে মাগুরা যাচ্ছি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সিন্ডিকেট থাকার কারণে গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। নাসরিন নামে এক যাত্রী বলেন, বেশিরভাগ মানুষ ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়িতে যাবে। তবে দৌলতদিয়া থেকে সব ধরনের যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। এখানে প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মাইক্রোবাস চালক বলেন, ফরিদপুর থেকে ঈদের যাত্রী বহন করার জন্য দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসছি। এখান থেকে প্রভাশালী এক ব্যক্তির সহায়তার গাড়ি লাগনোর সুযোগ পেয়েছি। তাকে এক হাজার টাকা দিতে হয়েছে। যে কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রী বহন করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দিনের বেলায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। রাতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ঘাটের অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে শুনেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি দেখে গোয়ালান্দ উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।