rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥
করোনা মহামারীতে সরকারের প্রণোদনায়ও দুর্নীতি হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দকরোনায় যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে তাতে জীবিকার প্রশ্ন মানুষের। সেখানেও পুরোপুরিভাবে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করা হয়েছে। জনগনের জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকার সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন একটি সরকার। যেহেতু তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই, সেজন্য মানুষের জীবন-জীবিকার প্রশ্নেও তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নাই। সেই দায়িত্বহীনতার কারণে, জবাবহীনতার কারণে আজকে গোটা জাতিকে একটা চরম বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে।’ বুধবার বিকালে করোনাভাইরাসে রোগীদের স্বাস্থ্য দিতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনে তৈরি ‘অ্যাপস’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রকৃত পক্ষে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারের চরম অযোগ্যতা ও অজ্ঞানতা এই করোনাভারাসকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের এখানে কারোনা চিকিতসার জন্যে সরকারের তরফ থেকে সেই ধরনের কোনো ব্যবস্থাই গ্রহন করা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘একদিকে করোনা টেস্টে মিথ্যাচার অন্যদিকে চিকিতসার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভ্রাষ্টাচার করে, দুর্নীতি করে তারা দেশটাকে চরম বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।আমরা কিছুদিন আগে দেখলাম যে, দুইটা হাসপাতাল উদাও হয়ে গেছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে হারে দুর্নীতি হচ্ছে যে, তাতে তারা দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছে। স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে, চরম ভঙ্গুর একটা স্বাস্থ্যখাত এই সরকার তৈরি করেছে। সরকারের ব্যর্থতা-অযোগ্যতায় গোটা জাতি আজকে বিপদের সম্মুখিন হয়েছে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা মহামারীর মতো এরকম সংকট গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সেজন্য আমাদের সবচেয়ে বড় যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে- একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করা, গণতান্ত্রিক একটা সরকার তৈরি করা, গণতান্ত্রিক একটা পার্লামেন্ট তৈরি করা যেথানে জবাবদিহিতা থাকবে, যেখানে জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকবে, যেখানে মানুষের সাথে সম্পর্ক থাকবে সেই ধরনের একটা ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করা দরকার। তিনি বলেন, আসুন এই ফ্যাসিস্ট দানব সরকার যারা আমাদের সব কিছু তচনচ করে দিয়েছে তাদেরকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই এই করোনা মহামারী বলুন, এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সুন্দর করে নিয়ে আসা বলুন বা আমাদের জাতির জনগনের যে একটা ভবিষ্যত নির্মাণ করা বলুন- সব কিছুর জন্য গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে যেটা প্রয়োজন আমরা সবাই মিলে সংগ্রাম করি, লড়াই করি। অবশ্যই আমরা সেই সংগ্রামের জয়ী হবে ইনশাল্লাহ। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। আসুন আমরা সবাই মিলে, আন্তরিকতার সঙ্গে দোয়া করি তার আশু রোগমুক্তির জন্য।’ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য ‘জেডআরএফ ট্রিটমেন্ট অ্যাপস’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। এই অ্যাপসটি উৎসর্গ করা হয় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ডা. আশরাফুল হাসান মানিক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আখতার হোসেন, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, অধ্যাপক আবদুল করীম, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, এএস হায়দার পারভেজ, মীর হেলাল উদ্দিন, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, বিথীকা বিনতে হোসাইন, গোলাম সারোয়ার, সাদরেজ জামানসহ মহানগর বিএনপি, যুব দল, ছাত্র দল ও ড্যাবের সদস্যরা অংশ নেন।