বার্তা ডেস্ক ॥ জমজমাট প্রচারণা,সরগরম ভোটের মাঠ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ০৪ দিন। সারা দেশের মতো পিরোজপুর জেলার-০১ আসনে নাজিরপুর উপজেলায় ০৪ জন প্রার্থীর প্রচারণা চলছে।
এদের মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত নৌকা প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী এড,শ,ম রেজাউল করিম, তার বাড়ি জেলার নাজিরপুর উপজেলায়।
তার প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একে এম এ আউয়াল (ঈগল প্রতীক নিয়ে) তার বাড়ি পিরোজপুর সদরে।
এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম ও তৃনমূল বিএনপির পাট মার্কার প্রার্থী মোঃ ইয়ার হোসেন রিপন রয়েছে।
পিরোজপুর ১ আসনে রয়েছে (পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী) উপজেলা।
জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি,বাজারঘাট প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে পোস্টারে-পোস্টারে ছেয়ে গেছে। চলছে মিছিল-মিটিং, পথসভা ও উঠান বৈঠক। ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। অনলাইনেও চলছে ভোটের প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোট চাচ্ছেন। প্রার্থী ছাড়াও ভোটের মাঠ সরগরম রেখেছেন তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা। তারাও নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জমে উঠেছে ভোটের মাঠে প্রচারযুদ্ধ। গণসংযোগ থেকে শুরু করে পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো, মাইকিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থী সহ নেতাকর্মীরা। প্রত্যেক প্রার্থীই ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জয় সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করছেন নৌকা মার্কার কর্মীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার নেতাকর্মীরা বলেন বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন তারা। তবে আমজনতা ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে রয়েছে আতঙ্ক। আবার অনেকেই কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন না এমনটা’ই অভিমত ব্যক্ত করেছেন, তবে সচেতন ভোটার’রা মুখ খুলছেন না।
ভোটযুদ্ধের আভাস মূল লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার মধ্যে। অন্য দুই প্রার্থী যাদের অনেক ভোটাররা’ই চেনেন না বলে মন্তব্য রয়েছে। এদিকে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী’র কর্মীদের মধ্যে পালটা-পালাটি সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে।
হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর সমানতালে প্রচারণার ভিরে অন্য দুই প্রার্থীর তেমন কোন প্রচারনা দেখা যায় যাচ্ছে না।
স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই আসনে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে মূল ভোটযুদ্ধ হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের সঙ্গে। মুলত নাজিরপুর উপজেলাটি হিন্দু অধ্যুষিত। এ এলাকায় হিন্দু ভোটারের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি। তারা রয়েছে চরম সংকটের মধ্যে। এ ভোটারদের মন জয় করে যে প্রার্থী তার পক্ষে রাখতে পারবেন তারই বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা বেশি বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল।