আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

আমতলী বিএনপির আহবায়কের অডিও ফাঁস


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: জানুয়ারি ০১, ২০২৪ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ আমতলী বিএনপির আহবায়কের অডিও ফাঁস
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর আঁতাত করা নিয়ে আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের তার পক্ষে ভোট দেওয়ার গোপন অডিওটি ফাঁস হয়।

এ ঘটনার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দলের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রকারী জালাল ফকিরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। তারা এ নির্যাতন বানচালের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। নেতাকর্মীদের অভিযোগ আন্দোলন শুরু থেকেই আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির দায়সারা আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলন জোরদার করতে আহবায়ক জালাল ফকির গত বুধবার উপজেলার সকল ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তার এক আত্মীয়ের বাসায় ডেকে নেন।

ওই বৈঠকে জালাল উদ্দিন ফকির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রস্তাব এসেছে তাকে ভোট দিলে তিনি প্রত্যেক ইউনিয়নে খরচ বাবদ এক লাখ টাকা করে দিবেন। এই মুহূর্তে নেতাকর্মীদের হাতে টাকা-পয়সা নেই। পদধারী ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারবে না। তবে সাধারণ কর্মী ও সমর্থকরা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসবে।

এমন সময় বিএনপির আহবায়ক তুহিন মৃধাকে বলতে শোনা গেছে এত অল্প টাকার জন্য কেন আন্দোলন সংগ্রাম ছেড়ে কর্মী সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে পাঠাবেন। জবাবে জালাল ফকির বলেন, আমার পেটে ক্ষুধা আছে। আন্দোলন সংগ্রামে কেউ ৫০ হাজার, এক লাখ টাকা দিতে পারবেন? পারবেন মাত্র ৫ হাজার ১০ হাজার টাকা দিতে।

ওই অডিওতে আরও বলতে শোনা গেছে, কাফেরদের টাকা খাওয়া জায়েদ আছে। ৭ তারিখ নির্বাচন হলে ফোরকান মিয়া এমপি হবে। তাতে আমাদের অসুবিধা নেই।

তিনি আরও বলেন, টাকা দুই ধাপে দিবে- নির্বাচনের মাঝামাঝি সময়ে অর্ধেক আর নির্বাচনের দিন বাকি অর্ধেক।

ওই অডিওতে আরও শোনা গেছে, অ্যাডভোকেট জসিম ও রুস্তম ভাই আপনারা বলেন কি করব? ১০ মিনিটের ওই অডিওতে তার অনেক গোপন রহস্য বেরিয়ে এসেছে। এ গোপন অডিও ফাঁস হলে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দলের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রকারী জালাল ফকিরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, আন্দোলন চাঙ্গা করতে জালাল উদ্দিন ফকির সভা ডেকেছিল। শুধু আন্দোলন জোরদারের কথা হয়েছে। তবে অডিওর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।

আমতলী উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, আন্দোলন জোরদার করতে জালাল উদ্দিন ফকির সভা ডেকেছিল। ওই সভায় তিনি আন্দোলন সংগ্রামের কথা বাদ দিয়ে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা এনে তার পক্ষে কর্মী সমর্থকদের ভোট দেওয়ার প্রস্তাব দেন; কিন্তু আমি তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে এসেছি।

আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত) আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যাচাই বাছাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।