আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
Spread the love
রুপন কর অজিত// ভোরে মিষ্টি রোদের সূর্যোদয়, ঘাসের ডগায় জমা শিশির বিন্দু আর পায়ের স্পর্শে ঠান্ডা অনুভূতিই জানিয়ে দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। অগ্রহায়ণ মাসের শেষ ভাগে এসে বরিশালে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের পরিবেশে এর প্রভাব কম হলেও শীতের আগমনী বার্তা হালকা অনুভব করছে বরিশালের নগরবাসীও। গত বছরের তুলনায় এবছর এখন পর্যন্ত তেমন শীত অনুভব না হলেও বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টির শীতের পর থেকে শীত অনুভব করছে নগরবাসী।
তবে শীতের আগমন নিয়ে এবার বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ডিসেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা সামান্য বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ওই বৃষ্টির পরই নামবে পারদ। এ সময় দিন ও রাতে গড়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। ফলে অনুভূত হবে শীত। মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বরিশালে বর্তমানে দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও রাত থেকেই শুরু হয় হালকা ঠান্ডা ও কুয়াশা পড়া। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হালকা কুয়াশা দেখা যায়। সকাল অবধি থাকে এই কুয়াশা। ঘাস এবং ফসলের ডোগায় জমছে শিশির বিন্দু। রাত ও ভোরের এই কুয়াশা পথঘাটে দৃষ্টিসীমা হরণ করছে জনসাধারনের।
গত কয়েক দিন থেকে নগরীর মার্কেট গুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের ভিড়। নগরীর হাজী মোহাম্মাদ মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট, নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল, রূপাতলী বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, সদর রোড,সিটি কর্পোরেশন সামনে, জেলা পরিষদের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত ও মার্কেটগুলো ক্রেতাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতন।
সরেজমিন বরিশালের কয়েকটি ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের প্রায় সব দোকানে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। মানভেদে বড়দের এক একটি সোয়েটার ১৫০ থেকে ৪৫০, ছোটদের ১০০ থেকে ২০০, জ্যাকেট ৪০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে শীতের আগমনি বার্তায় লেপ তৈরির দোকান গুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। আর ব্যস্ত হয়ে উঠেছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরা।
সরেজমিন নগরীত ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ী সহ লেপ তৈরির কারিগরদের নিজেদের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন অনেকেই। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে প্রকার ভেদে লেপ-তোষক তৈরির কাপড় প্রতি গজে ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। এছাড়া শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৯০ থেকে ১৫০ টাকা, সাদা তুলা ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে দাম চলছে।
এছাড়া নগরীর অলিতে-গলিতে শীতকালীন বিভিন্ন পিঠার দোকানও জমজমাট হয়ে উঠেছে।নগরীর বাজার রোড, বিবির পুকুর পাড়, শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে, লঞ্চঘাট, সদর রোড, রূপাতলী বাস টার্মিনাল, বিএম কলেজের সামনে, চৌমাথা, বটতলাসহ বরিশালের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, অলিগলির মুখে এই পিঠার দোকান দেখা যায়। পিঠা ব্যবসায়ীদের কাছে দেখা গেছে সাজের পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠার সমারোহ। চিতই পিঠা ও সাজের পিঠার সাথে ধনিয়া পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করা হয়। এসব দোকানে প্রতি পিস পিঠা ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশি একটা পুঁজি লাগে না বলে সহজেই এ ব্যবসা শুরু করেন বলে জানান অনেকেই।
তবে দাম একটু বেশি হলেও নগরীর কাঁচাবাজার গুলোতেও দেখা মিলছে শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজির। নগরীর নথুল্লাবাদ, নতুন বাজার, বাজার রোড, বটতলা বাজার, চৌমাথা বাজার ও রুপাতলি বাজারে গিয়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, মুলা, শালগম, শিম, টমেটো, গাজর, ধনিয়াপাতা দেখা যায়। ক্রেতারা বলেছেন আগের থেকে দাম তুলনামূলক বেশি। আর বিক্রেতার বলছেন আমদানি ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি।
Deprecated: Function WP_Query was called with an argument that is deprecated since version 3.1.0! caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085