আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

বরিশালে থ্রি-হুইলার সিন্ডিকেট নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৩ ৮:৪৮ অপরাহ্ণ বরিশালে থ্রি-হুইলার সিন্ডিকেট নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥ বরিশালের রূপাতলীতে থ্রি-হুইলার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতের সমর্থিত শ্রমিক নেতা সুমন মোল্লার ভাই মিলন মোল্লা দলবল নিয়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদের স্বজন এক যুবককে এলোপাতারি কুপিয়েছে। হামলায় শিকার ওই যুবকের নাম পিয়াল (২৭)।

পিয়াল কাউন্সিলর সুলতানের সমন্ধির ছেলে এবং তারা দুজনেই বরিশাল সদর আসনের এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে রুপাতলী মোল্লা মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।

কাউন্সিলর সুলতান জানান, নতুন মেয়র এবং তিনিসহ পরিষদের সদস্যরা আজ (মঙ্গলবার) বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন। এই আয়োজনকে ঘিরে যে যার মতো লোকবল নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সামনে যায়। সেখানে তার লোকজনও যেমন গিয়েছে, তেমনি সুমন মোল্লার লোকজনও উপস্থিত ছিলো।

এই কাউন্সিলর আরও অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠান শেষ করে রুপাতলী ফিরে আসার পর সুমন মোল্লার ভাই মিরন মোল্লা ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল নিয়ে পিয়ালকে তার বাসার সামনে মোল্লা মার্কেটে কুপিয়ে জখম করে। তখন আত্মরক্ষার্থে পিয়াল দৌঁড়ে গিয়ে রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডের পাশে হুমাহুম রেস্তোরাঁর সামনে অবস্থান করলে সেখানে গিয়েও মিরন মোল্লা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় পিয়ালকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সুমন মোল্লা বলেছেন, মেয়রের অভিষেক আয়োজনে কাউন্সিলর সুলতানের লোকজনের অপেক্ষা তার কর্মীবাহিনী বেশি অংশ নেন। যা দেখে তিনি সংক্ষুব্ধ হন এবং আয়োজন শেষে তিনি মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সন্ত্রাসীদের পাঠিয়ে দেন। তখন তাদের সাথে শ্রমিকদের সংঘাত হয় এবং এতে তার পক্ষের অন্তত ১০ জনের বেশি রক্তাক্ত হয়েছেন। এছাড়া খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও পেটানো হয়, দাবি করেন সুমন মোল্লা।

তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এই হামলার পেছনে থ্রি-হুইলার রয়েছে। মাহিন্দ্রা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সুলতান মোল্লা এবং সুমনের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এই রক্তপাতের ঘটনা ঘটল। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম গিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ-পরিস্থিতি শান্ত করে।

এসআই আরাফাত রহমান হাসান জানান, দুই গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।