আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

অবরোধে পর্যটক শঙ্কায় কুয়াকাটা!


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৩ ৭:৩১ অপরাহ্ণ অবরোধে পর্যটক শঙ্কায় কুয়াকাটা!
Spread the love

রুপন কর আজিত ॥ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের হোটেল সী-ক্রাউনে কর্মীর সংখ্যা ২০। তাদের পারিশ্রমিক, বিদ্যুৎ বিলসহ দৈনিক অন্যান্য খরচের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকার মতো। এ তথ্য জানিয়ে হোটেলের পরিচালক সৈয়দ মো. ফিরোজ বলেন, ‘আমার হোটেলে মোট ৬৪টি কক্ষ। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারের জন্য চার-পাঁচ দিন আগেই ৭০ শতাংশ কক্ষ বুক হয়ে যেত। কিন্তু চলতি সপ্তাহে বড় ধাক্কা খেয়েছি।’ বিএনপির শনিবারের মহাসমাবেশ থেকে হরতালের ঘোষণা, পরে অবরোধের কর্মসূচি দেওয়ার পর সব বুকিং বাতিল হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত যে বুকিং ছিল এতে অন্তত দেড় লাখ টাকা আয় হতো বলে জানান মো. ফিরোজ। এখন ৩০ হাজার টাকা আয় নিয়েও শঙ্কিত। অথচ এই সময়ের অন্তত এক লাখ টাকা খরচ করতে হবে তাঁকে। টানা ১৫ দিন এমন অবস্থা চললে হোটেল বন্ধ করতে বাধ্য হবেন। এতে কর্মীরা কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়বেন।

গতকাল সোমবার সকালে কুয়াকাটায় হাতে গোনা কিছু পর্যটক দেখা গেছে। তাদের বেশির ভাগই আশপাশের জেলার। টিকিট কাউন্টারে কর্মরত মো. সোহেল বলেন, রোববারের হরতালে একেবারে পর্যটকশূন্য ছিল। সোমবার শ’দেড়েক স্থানীয় পর্যটক এসেছেন। অথচ স্বাভাবিক সময়ে দিনে সহস্রাধিক পর্যটক আসেন।

হোটেল খান প্যালেসের মালিক মো. রহিম খান বলেন, ৩০ শতাংশ কক্ষ বুকিং দিয়েও বাতিল করা হয়েছে সব কক্ষ খালি। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সব বাতিল করেছেন পর্যটকরা। অথচ গত বছর একই সময়ে শতভাগ কক্ষই পূর্ণ ছিল। এ অবস্থা চলতে থাকলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।তবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি ।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষারের ভাষ্য, দেশের পরিস্থিতির সঙ্গে কুয়াকাটার পর্যটন সম্পর্কিত। মৌসুমের শুরুতেই বড় ধাক্কা লেগে গেল। এখানে ১৬ পেশায় সরাসরি পাঁচ হাজার লোক পর্যটন সেবায় জড়িত। এভাবে চলতে থাকলে বেকারত্ব ও সরকারের বড় আর্থিক ক্ষতি হবে।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এম.এ. মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটনের সঙ্গে নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের পরিস্থিতি নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কুয়াকাটায় পর্যটক আসবে না। এ কারণে আবাসিক হোটেলগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।