আজকের বার্তা | প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৩ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥ মৃৎশিল্প আবহমান বাংলার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বহুকাল ধরে গ্রাম বাংলার জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই শিল্প। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মানুষের চাহিদার পরিবর্তনের আগের সেই সুদিন নেই এই শিল্পের কারিগরদের। মৃৎশিল্পের সুদিন ফেরাতে প্রতিবছরের মত বরিশালে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সম্মাননা উৎসব। সম্মেলনের পাশাপাশি চলছে মেলাও।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর শখের হাড়ি, টাঙ্গাইলের পুতুল, বাউফলের মাটির তৈজসপত্র ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের নানা সামগ্রী স্থান পেয়েছে এই মেলায়।
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানায়, মাটির তৈরি তৈজসপত্র দেখে ৯০ দশকের জীবনে ফিরে গেছেন তারা। নতুন প্রজন্মের মাঝে নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরতে মেলায় আসার পাশাপাশি এসব তৈজসপত্র ক্রয় করছেন তারা।
দেশজুড়ে মৃৎশিল্পের সম্ভাবনা থাকলেও বাজারজাত করণে সমস্যা এবং প্রকৃত মূল্য না পাওয়ায় ক্রমশ মুখ থুবরে পড়ছে এ শিল্প। ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি এ শিল্পের কারিগরদের।
বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলার মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মৃৎশিল্প। নিজেদের সংস্কৃতিকে যদি ধরে রাখতে হয়, নিজেকে যদি চিনতে হয় তাহলে এই শিল্পকে ধরে রাখা জরুরি।’
এদিকে সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এমন আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। আর মৃৎশিল্পের ব্যবহারে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সিটি মেয়র।
মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সম্মাননা উৎসবের আয়োজক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমরা এই আয়োজন করে যাচ্ছি। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এবং শিল্পীরা যাতে আরও সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রতি বছর আমরা এ উৎসবের আয়োজন করি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।’
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম বাংলার সংস্কৃতিকে ভালোবাসে বলে বিশ্বাস করি। আমি চাই মৃৎশিল্পের ব্যবহারে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসুক। তারাই পারে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে।’
এ উৎসবে অংশ নেয়া দুই শতাধিক মৃৎশিল্পীর মধ্যে থেকে ১৫ জনকে দেয়া হবে বিশেষ সম্মাননা। এ আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার সময় টেলিভিশন।