বার্তা ডেস্ক ॥ দলিল লেখকদের দলিলে পরিচিতি থাকার শর্ত জুড়ে দেয়ায় আমতলীতে গত ১৫ দিন ধরে দলিল লেখক সমিতি দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। উপজেলা সাব রেজিষ্টার মোঃ মশিউর রহমান কাওসার এমন শর্তে দলিল লেখকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীরা এ শর্ত বাতিল করে দলিল লেখা কার্যক্রম দ্রুত শুরুর দাবী জানিয়েছেন ।
জানাগেছে, গত ৬ অক্টোবর আমতলী উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার মোঃ মশিউর রহমান কাওসার দলিল লেখকদের দলিলে পরিচিতি থাকার শর্ত জুড়ে দেন এবং দলিল লেখকরা দলিলে পরিচিতি না থাকলে তিনি দলিল সম্পাদন করবেন না বলে ঘোষনা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় আমতলী উপজেলার দলিল লেখকরা। পরে তারা গত ৮ অক্টোরব থেকে দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তাদের অভিযোগ সাব রেজিষ্ট্রার অনৈতিকভাবে তাদের ওপর এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। এতে গত ১৫ দিনে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। দলিল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ মানুষ। দ্রæত এমন শর্ত বাতিল করে দলিল কার্যক্রম শুরুর দাবী দলিল লেখক ও ভুক্তভোগীদের।
বৃহস্পতিবার দলিল লেখকদের সেরেস্তা ঘুরে জানাগেছে, দলিল লেখকরা দলিল লেখা বন্ধ রেখে অলস সময় পাড় করছেন। আমতলী সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত দুই সপ্তাহে কোন দলিল কার্যক্রম সম্পাদন হইনি।
আমতলী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বাবুল বলেন, সাব রেজিষ্ট্রার দলিলে দলিল লেখকদের পরিচিতি থাকার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। এ শর্ত আমরা মানতে পারছি না। ফলে গত দুই সপ্তাহ ধরে দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তিনি অরো বলেন, যতদিন পর্যন্ত এ শর্ত তুলে না নিবেন ততদিন পর্যন্ত দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
আমতলী উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার মোঃ মশিউর রহমান কাওসার বলেন, আইনে উল্লেখ আছে দলিলে পরিচিতিকে সাব রেজিষ্ট্রারের পরিচিত হতে হবে। এমন কথাই আমি দলিল লেখকদের বলেছি। কিন্তু এ কথায় কেন তারা দলিল লেখা বন্ধ করেছেন তা আমার জানা নেই।
বরগুনা জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ সিরাজুল করিম বলেন, বিধি অনুসারে সাব রেজিষ্ট্রার দলিল লেখকদের দলিল লেখার কথা বলেছেন। কিন্তু তারা তা না মেনে দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। এটা তাদের খামখেয়ালীপনা। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।