মোঃ জিয়াউদ্দিন বাবু ॥ ধর্ষণের অভিযোগে প্রমানিত হওয়ায় দুই ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ ইয়ারব হোসেন। গতকাল সোমবার বিকালে ওই রায় দেন। পাশপাশি ২ ধর্ষককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত হলো বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আহতী বাটরা গ্রামের সুধীর হালদারের ছেলে রজত হালদার (৩৬) ও উজিরপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত আরজ আলী বালীর ছেলে আবুল হোসেন বালী (৪৫)। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ হুমায়ুন কবির জানান ২০১২ সালের ৫ জুন আহতী বাটরা গ্রামের বাড়ীর পাশের ধানক্ষেতে গরু তাড়াতে যায় ১১ বছরের শিশু কন্যা। ক্ষেতের পাশে থাকা রজত শিশু কন্যার মুখ চেপে ধরে পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে। শিশু কন্যার চিৎকারে তিন সহপাটি এক শিশু কন্যার একজনের বাবা এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশু কন্যা অন্তরা হালদার বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলায় করে।
আগৈলঝাড়া থানার এস আই ইদ্রিস আলী ২০১২ সনের ৪ আগষ্ট রজত হালদারকে অভিযুক্ত করে চাজর্শীট দেন। বিচারক ৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল ওই রায় দেন। অপর দিকে ২০১৩ সনের ৯ এপ্রিল উজিরপুরের ৯ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রীকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের পিছনে নিয়ে যায় দন্ডিত দোকানী আবুল হোসেন বালী। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় এক ক্রেতা এসে দোকানী আবুলকে না পেয়ে পিছনে উকি দিয়ে দেখে শিশুকে ধর্ষণ করতে দেখে মাদ্রাসায় গিয়ে জানিয়ে দেয়। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকরা এসে শিশুকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় ২০১৩ সনের ৯ এপ্রিল মামলা করেন। ২০১৩ সনের ২৩ জুন তদন্ত শেষে মামলার চাজর্শীট দেন উজিরপুর থানার এস আই হুমাউন কবির। আদালত ৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই রায় দেন। রায় ঘোষাণার পর পরই ২ আসামীকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।