বার্তা ডেস্ক ॥ ২০০৮ সালে বরিশালবাসী আমাকে ১ লাখ ভোট দিয়েছেন। ২০১৮ সালে আমি বিজয়ী লাভ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করেন। সেদিনই আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম বরিশালকে একটি আধুনিক নগরী গড়বো। কিন্তু আমি যাদের নিয়ে এই স্বপ্ন দেখেছি তাদের অকেকই পাশে পাইনি। আমার দড়জা নেতা-কর্মীদের জন্য সব সময়ই খোলা ছিলো। অনেকেই কোন এক ভয়ে আমার কাছে আসতে পারেনি। বিগত সময় বরিশালের নেতা-কর্মীরা ভয়ে কথা বলতে পারেনি। তবে সেই ভয় ছাপিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ১০ কাউন্সিলর প্রথম আমার কাছে আসেন। সুযোগ পেলে আগামীতে বরিশালকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়বো।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর নির্বাচন পরিচালনার সাথে জড়িত মহানগরের ৩০ টি ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিটি মেয়র আবুল খায়ের এর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এ্যাড: আফজালুল করিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্যেশ্যে আরো বলেন, বিগত সময়ে ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করা হয়নি।
বিএনপি থেকে আগতদের দলীয় পদ দেয়া হয়েছে। সেই বিভিষিকাময় পরিস্থিতি থেকে নেতা-কর্মীদের উদ্ধারের জন্য খোকন সেরনিয়াবাতকে মেয়র হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
আগামীতে আর কোন ভয় থাকবেনা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেভাবে নৌকাকে বিজয়ী করেছেন, তেমনি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আপনারা বিজয় ছিনিয়ে আনবেন। বিগত দিনে বরিশালে যে উন্নয়ন করতে বাঁধার সম্মুখিন হয়েছি আগামীতে তা আর থাকবেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে আর আপনারা বিজয়ী করলে কেউ বিমুখ হবেননা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড: কে বি এস আহমেদ কবির, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড: লস্কর নুরুল হক, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ন কবির, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অসীম দেওয়ান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন ও বি এম কলেজের সাবেক ভিপি মঈন তুষার।
সভার শুরুতে সদ্য প্রয়াত ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিচুর রহমান দুলালের রুহের মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। সভার সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ওয়ার্ড নেতারা সিটি নির্বাচনে যে গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন তার ঋন শোধ করার না। সিটি নির্বাচনে যেমন আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছেন তেমনি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
সিটি নির্বাচনের বিজয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। তফসিল ঘোষনার আগেই নিজেদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এসময় ৩০ টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।