আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

সেতুর স্ল্যাবে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছ


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩ ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ সেতুর স্ল্যাবে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছ
Spread the love

বার্তা ডেস্ক:  পিরোজপুরের কাউখালীতে ব্রিজ মেরামত কাজের স্ল্যাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা ব্যবহার করা হয়েছে। কাউখালী সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (কাঁঠালিয়া) নূরুল ইসলামের বাড়ির সামনে স্টিলের সেতুর স্ল্যাব নির্মাণকাজে সুপারি গাছ ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি সেতুটির কয়েকটি স্ল্যাব ভেঙে পড়লে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির তিনটি স্ল্যাব ভেঙে গেছে। প্রতিটি স্ল্যাবে রডের পরিবর্তে ৫টি করে সুপারি গাছের চেরা (স্থানীয় লোকজন সুপারির ডাব বলেন) দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। সেতুটির প্রায় সব স্ল্যাব ফেটে গেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তদের অধীন এডিপির আওতায় সেতুটি মেরামত করা হয়। মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলু খান কাজটি করেন। ২০২২ সালের ২০ জুন কাজ শেষ করা হয়।

 

এলাকার বাসিন্দা আবদুল লতিফসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ঠিকাদার নিজের এলাকায় স্ল্যাব তৈরি করে নিয়ে আসেন। এক দিনের মধ্যে এসব স্থাপন করে চলে গেছেন ঠিকাদার। কাজ করে যাওয়ার পর থেকেই স্ল্যাবে ফাটল দেখা দেয়। তিন দিন আগে তিনটি স্ল্যাব ভেঙে পড়ে। এ সময় বিষয়টি দেখে অবাক হন তারা। এ খবর জানাজানি হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও সেতুটি পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলু খান দাবি করেন, এক থেকে দেড় বছর আগের ঘটনা। তিনি নিজে কাজ করেননি। ওই কাজ কাউখালীর সীমান্ত ও তাঁর এক বড় ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ঠিকাদারের প্রশ্ন, যখন ঢালাই দেয় তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তাঁর প্রতিনিধিরা দেখেননি কেন? এখন সমস্যার কথা বললে কীভাবে হবে?

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেনকে ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। এ জন্য তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, ‘খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখে অবাক হয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি। ফিরে এসে তাৎক্ষণিক সভা করেছি। প্রকৌশলী আসতে পারেননি। তাঁকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি সংসদ সদস্য, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হবে। এত বড় দুর্নীতি করতে দেওয়া যায় না।’