বার্তা ডেস্ক ॥ ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌর শহর ব্যবসায়ী ও পৌর ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোশারেফ ওরফে মসুকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বোরহানউদ্দিন থানার সামনে সহস্রাধিক নারী—পুরুষ বিক্ষোভ মিছিলসহ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে বক্তৃতা করেন, বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দে হারু হাওলাদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হীরা, পৌর শ্রমিকলীগ সভাপতি আবুল কাশেম রাড়ি, পৌর শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন খোঁয়াজ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা পুলিশ বিভাগকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীদেও অবিলম্বে গ্রেফতার না করলে সামনে কঠোর কর্মসিূচ দেওয়া হবে।
মানববন্ধন চলাকালে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রাজিব মানববন্ধনকারীদের অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য দেন ।
জানা যায়, নিহত ব্যবসায়ী মোশারেফের মেঝ ছেলে শান্তর সাথে পাশ্ববর্তী ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের বশির পাটোয়ারীর ছেলে সুমনের (২২)এর বন্ধু চাঁন মিয়া সাথে প্রায় ১ বছর পূর্বে ঢাকায় ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুমনের বন্ধুরা শান্তর কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ওই ঘটনার ১ বছর পরে বশির পাটোয়ারীর ছেলে সুমনের বন্ধু চাঁন মিয়াকে বোরহানউদ্দিন সদরে পেয়ে মৃত মোশারফের ছেলে শান্ত তাকে থাপ্পর মারে। এর রেশে গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে সুমন,শাহিন ওরফে সখা, কামালসহ একদল বখাটে ব্যবসায়ী মোশারেফকে হাত মুখ বেঁধে অটো রিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে যায়।
সুমনসহ অজ্ঞাত ২০ জন তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়রা আহত মোশারেফ হোসেন মসুকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে পাঠায়। আহত মসুর চিকিৎসার অবনতি হলে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে গত রোববার ঢাকা নেয়ার পথে মসু মারা যায়। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গিয়াস নামের ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।