ঢাকা
বার্তা ডেস্ক ॥ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ২১ দিন ধরে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে জ্বালানি খাতের বরাদ্দ অন্য খাতে দেওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গুরুতর অসুস্থ রোগীরা।তবে এ সুযোগ নিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালকরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাসপাতাল থেকে জানা যায়, প্রতি বছরের জুলাই মাসে জ্বালানি খাতের বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার অন্য খাতে বরাদ্দ চলে যাওয়ায় সদর হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্সের সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঝালকাঠি অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি খাতে বছরে বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা, যা এ বছর হাসপাতালের ভ্রমণ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ ভ্রমণ খাতের বরাদ্দ ছিল ১ লাখ টাকা।
এ বিষয়ের সত্যতা জানিয়ে হাসপাতালের আরএমও চিকিৎসক মেহেদী হাসান সানি জানান, ভুলবশত এক খাতের টাকা অন্য খাতে চলে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সম্প্রতি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসায় তাকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। খুব শিগগির এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. মহসীন জানান, গত সাত মাসের বকেয়া টাকা পাবে পেট্রোল পাম্প। ২১ দিন হলো তাদের টাকা দিতে না পারায় তারা তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁর দাবি, সরকারিভাবে কিলোমিটার ১০ টাকা হারে ঝালকাঠি থেকে বরিশাল ভাড়া ৪০০ টাকা। কিন্তু বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামিম আহমেদকে দু’বার ফোন দিলে তিনি প্রথমবার বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি, এখন কথা বলা যাবে না।’ দ্বিতীয়বার বলেন, ‘আমি ঝামেলার মধ্যে আছি। এ বিষয়ে আপনি পরে ফোন দেন। তখন কথা বলা যাবে।’
ঝালকাঠি সিভিল সার্জন এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের তেলের বরাদ্দ না থাকায় রোগীরা সেবা না পাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। তবে আমাকে বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অফিসিয়ালি জানায়নি। আপনার কাছে এবং লোক মুখে শুনেছি। কী কারণে এটা হলো খোঁজ নিয়ে দেখব।
