জামায়াত নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের পাঁচ জেলার ১০টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার চারটি আসনের প্রার্থীরা সবুজ সংকেত পাওয়ার পর এলাকায় নানাভাবে তৎপরতা শুরু করেছেন।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়ায্যম হোসাইন, বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাস্টার আবদুল মান্নান, বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে মহানগর জামায়াতের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির মাওলানা আবুল হাসেমকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
দলটির নেতারা জানান, এর বাইরে ভোলা-১ ও ৪ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পিরোজপুর-১ ও ২, পটুয়াখালী-২ এবং ঝালকাঠি-১ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। তবে বরগুনায় এখনো দলীয় প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক মুয়ায্যম হোসাইন বলেন, ‘আমরা একদিকে কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি নিয়ে সবার সঙ্গে রাজপথে আছি, একই সঙ্গে দল হিসেবে আলাদা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছি।’
জামায়াতের বরিশাল নগর কমিটির আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতা, চলমান আন্দোলন সবকিছুই একসঙ্গে চলছে। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে আসনভিত্তিক প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলমান আছে। এরই মধ্যে বরিশাল বিভাগের অন্তত ১০টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে গেছে।’ জামায়াত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না, জানতে চাইলে জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কথা স্পষ্ট, জামায়াত কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন হতে হবে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে। সেটা না হলে জামায়াত নির্বাচনে যাবে না।’
এদিকে, গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চারটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে জামায়াত নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এসবের মধ্যে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে জামায়াত। ওই নির্বাচনে নির্বিঘ্নেই দলের প্রার্থীরা মাঠে সরব থাকতে পেরেছেন। এর মধ্য দিয়ে জামায়াতের নেতারা প্রকাশ্যে আসার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন।
২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়। এর পর থেকেই অন্যান্য স্থানের মতো বরিশালেও ঝিমিয়ে পড়ে জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। ২০১৩ সালের দিকে বন্ধ হয়ে যায় বরিশাল নগরের বাটারগলি এলাকায় দলটির অস্থায়ী কার্যালয়।