আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

কুয়াকাটায় বিদ্যালয়ে পর্যটকদের জন্য গেস্টহাউস, সমালোচনার পর বন্ধ করলেন ইউএনও


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৩ ২:০৬ অপরাহ্ণ কুয়াকাটায় বিদ্যালয়ে পর্যটকদের জন্য গেস্টহাউস, সমালোচনার পর বন্ধ করলেন ইউএনও
Spread the love

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনের চারটি কক্ষকে বাণিজ্যিক গেস্টহাউসে রূপান্তর করে পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর পর সমালোচনা শুরু হলে গেস্টহাউসটি বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

 

স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শুরুতে বিদ্যালয়টিতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হলেও ২০১০ সাল থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে। সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বিদ্যালয়টির একটি ভবনের মধ্যে আবাসিক গেস্টহাউস করে সেটির নাম দেওয়া হয় ‘বিবি গেস্টহাউস’। নামকরণের সাইনবোর্ডও টানিয়ে দেওয়া হয়।

 

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের একটি ভবনের চারটি কক্ষকে গেস্টহাউস বানিয়ে পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। বহুদিন ধরে এ কার্যক্রম চলছিল। এ ছাড়া কখনো কখনো একটি কক্ষে গণিতের শিক্ষক ও অপর একটি কক্ষে ইংরেজির শিক্ষকও রাত্রি যাপন করেন। বিদ্যালয় ভবনের যে কক্ষগুলোয় গেস্টহাউস করা হয়েছে, সেগুলোর আসবাবপত্র এবং কক্ষে অবস্থান করা পর্যটকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হলে সমালোচনা শুরু হয়।

 

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় শিক্ষা বিভাগ থেকে অনেক কর্মকর্তা কুয়াকাটায় বেড়াতে আসেন। তাঁদের জন্য অনেক সময় কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলগুলোয় কক্ষ ভাড়া পাওয়া যায় না। তাই একটি ভবনের মধ্যে গেস্টহাউসের মতো করে কয়েকটি রুম করা হয়েছে। এগুলো কখনো সাধারণ মানুষের কাছে ভাড়া দেওয়া হয় না।’

 

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমকে গেস্টহাউস বানিয়ে ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে আসলে আমি কিছুই জানি না।’ উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি রোববার জানতে পেরেছি। গতকাল সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবি গেস্টহাউস বন্ধ করে দিয়েছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানকে কারণ দর্শাতে হবে।’