আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বরগুনায় ৩৫ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। পশু পালন ও হাটে উঠানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরগুনার খামার মালিক ও গৃহস্থরা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এবারে ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর ঘাটতি হবে না।
জেলায় ৪৪টি হাটে কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রয় করার জন্য তোলা হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে এবার পশুর দাম বেড়েছে। এছাড়াও হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যাপারীরাও কোরবানিযোগ্য পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার বাইরে থেকে বিভিন্ন ব্যাপারীরা কোরবানিযোগ্য পশু কিনে আনছেন। সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের এমদাদুল খাঁন বলেন, এবার কোরবানির জন্য দেশি প্রজাতির ৮টি গরু পালন করেছি। পশুর খাবারের দাম আগের তুলনায় দ্বিগুণ। সব মিলে একটি গরুর পেছনে যে ব্যয় হয় তা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এবার জেলায় কোরবানির পশু প্রস্তুত আছে ৩৫ হাজার। জেলায় মোট চাহিদা রয়েছে ৩৪ হাজার প্রাণী। আশা করি, এই ঈদে পশুর সংকট হবে না। এতে খামারি ও ব্যবসায়ী উভয়েই লাভবান হবেন। তিনি আরও বলেন, রোগাক্রান্ত পশু কিংবা কোরবানির অনুপযোগী পশু কেনাবেচা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া উপজেলাভিত্তিক একটি করে মনিটারিং টিম গঠন করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রত্যেক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।