আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

মান্নাসহ তার ১২ অনুসারী জামিনে মুক্ত


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩ ২:০৪ অপরাহ্ণ মান্নাসহ তার ১২ অনুসারী জামিনে মুক্ত
Spread the love

টানা একমাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মহানগর ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ ১২ নেতা-কর্মী। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের একদিন পর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

 

এর আগে গত ১৪ মে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের নৌকা প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে মান্নাসহ তার অনুসারী ১২ নেতাকর্মীকে আটক করে কাউনিয়া থানা পুলিশ এবং র‌্যাব-৮ সদস্যরা। পরদিন তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সেই থেকে টানা এক মাস কারাগারে ছিলেন মান্নাসহ তার ১২ অনুসারীরা।

 

জামিনপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা মান্নার ছোট ভাই রিসাদ আহম্মেদ নাদিম (২৫), আরআরএফ পুলিশ লাইনস এলাকার বাসিন্দা পারভেজ হাওলাদার (৩২), নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গবন্ধু কলোনীর বাসিন্দা শান্ত ইসলাম (২৪), ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান সম্পদ (৩০), একই এলাকার মিজানুর রহমান শাওন (২৫), ইমরান হোসেন সজিব (৩০), আল আমিন হাওলাদার (২৮), রাসেদ হাওলাদার (২৫), ফাহিম (২২), সুমন হাওলাদার (২৯) ও নান্টু সন্যামত (৫৩)।

 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রইজ আহমেদ মান্নাসহ কারাবন্দিদের পক্ষে তার আইনজীবী বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। এসময় আদালতের বিচারক একেএম রাশেদুজ্জামান রাজা তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

 

এদিকে, কারাগারে থেকেই নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন রইজ আহমেদ মান্না। তবে নানান ত্রুটি দেখিয়ে বছাইতে বাতিল করা হয় তার মনোনয়নপত্র। আপিল কর্তৃপক্ষও তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। ওই সময় তিনি জামিনও পান। তাকে ‘ঘুড়ি’ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পুনরায় তার জামিন এবং প্রার্থীতার আবেদন প্রত্যাহার করেন।

 

তার পরিবর্তে ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তার বড় ভাই মুন্না হাওলাদার। মাত্র দুই দিনের প্রচার প্রচারনায় ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে সাড়া ফেলেন তিনি। এমনকি শেষ পর্যন্ত এক টানা ২৯ বছরের কাউন্সিলর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব একেএম মুর্তজা আবেদীনকে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন মুন্না।