নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌসুমে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মৎস্য আহরণ শুরু হলেও এবার আশানুরূপ ইলিশ পাননি জেলেরা। অধিকাংশ জেলেই খালি হাতে ফিরছেন তীরে। এমন অবস্থায় পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়ল ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ। যা পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাটে বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। রোববার বিকেলে ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের পায়রাকুঞ্জ সংলগ্ন পায়রা নদীতে জেলে মো. কাওছার হোসেনের জালে ধরা পড়ে ওই ইলিশ।
জেলে মো. কাওছার হোসেন বলেন, ‘নদীতে মাছ মোডেও নাই কইলেই চলে। তয় দুই-চাইডা যা পাই, তার অধিকাংশই বড় আর দাম পাই বালা।’ পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাটের মাছ বিক্রেতা শাহ কামাল বলেন, ‘মাছটি জেলে কাওছার বিকেলের দিকে ঘাটে নিয়ে আসে। পরে মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে আড়াই হাজার টাকা করে কেজি চেয়ে দোকানে ওঠাই। সন্ধ্যার পর ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের মাছটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করি।’
পটুয়াখালী সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মুহম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, এখন জেলেদের জালে ইলিশ কিছুটা কম ধরা পড়ছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে জালে মাছ ধরা পরবে। আর সরকারের নানামুখী তৎপরতায় দেশে ইলিশের উৎপাদন যেমন বাড়ছে, তেমনি জেলেরা বড় আকারের ইলিশও পাচ্ছেন। মৎস্য কর্মকর্তা মুহম্মদ মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘পায়রা নদীতে এ বছর এই প্রথম দুই কেজি ওজনের বড় আকারের ইলিশ ধরা পাওয়ার খবর পেলাম। এটি জেলেদের জন্য ভালো সংবাদ। সারা দেশে ইলিশের যে চাহিদা রয়েছে এর মধ্যে পায়রা নদীর ইলিশের স্বাদ বেশি বলে প্রচলন রয়েছে। এ কারণে অনেকেই পায়রার ইলিশ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।’