পটুয়াখালীর দশমিনায় বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে ঝড়ের কবলে পরে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বাকি দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিখোঁজ চারজনসহ মোট পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার শেষে অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। রোববার (৩০ এপ্রিল) খুব সকালে তিনজন ও দুপুরে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এর পরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ও আভিযানিক দলের টিম লিডার মো. রেজওয়ান।
মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার বিকেলে নববধূ মাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গিয়ে ঝড়ের কবলে পরে বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে ডুবে যায়।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে (বর) রাব্বি হাওলাদারের ফুপু লিপি বেগমের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ থাকে বর ও তার মাসহ চারজন। দুইদিন পরে আজ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এরা হলেন- গুলি আউলিয়াপুর এলাকার মনির হাওলাদারের ছেলে (বর) রাব্বি হাওলাদার (২০) তার মা স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০), উত্তর রনগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) এবং উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮)। নিহতদের পরিবারকে জন প্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা।