ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মাঠে মাঠে হলুদের গালিচা। শন শন বাতাসে দোল খায় দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখীরা। ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা মৌমাছি। আকাশের দিকে মুখ তোলে সূর্যমুখীর হাসি দেখে হাসছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
সোমবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, শেষ সময়ে সূর্যমুখীর মাঠে ব্যস্ত কৃষক। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সূর্যমুখী চাষ করেছেন প্রায় ৮০ জন কৃষক। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায় গত বছরের চেয়ে চারগুণ বেশি জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে, ফলনও হয়েছে ভালো। কম সময় ও অর্থ ব্যয়ে সূর্যমুখী চাষ করে অধিক লাভের অপেক্ষায় এ উপজেলার কৃষকরা।
আমিনাবাদ ইউনিয়নের কৃষক মো: মাসুদ বলেন, পরিবার উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় এক একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খরচ পুষিয়ে তিনগুণ লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, এখন আর সূর্যমুখী ফুল চাষের লক্ষ্য নিছক বিনোদন নয়। মূলত ভোজ্যতেল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখী চাষ করা হচ্ছে। সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। সয়াবিন ও সরিষা ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণ করবে এই সূর্যমুখী তেল। তিনি আরও বলেন, এ উপজেলায় সূর্যমুখী চাষাবাদে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আগামীতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ বর্তমানের চেয়েও ব্যাপক হারে সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
এম,নোমান চৌধুরী/চরফ্যাশন (ভোলা)