আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২১ ৫:১৭ অপরাহ্ণ
ঝালকাঠি ও নলছিটি প্রতিনিধি ॥
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সরমহল গ্রামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ধর্ষকের সাথে ওই কিশোরীর বিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানায়, সরমহল গ্রামের রশিদ খানের ছেলে আল আমিন খান (২৬) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দরজা খুলে তুলে নিয়ে যায়। সরমহল গ্রামের জোড়াকালভার্ট এলাকায় তাকে রাতভর ধর্ষণ করে আল আমিন। মেয়েটি জ্ঞান হারালে রাস্তার পাশে একটি বাগানে তাকে ফেলে চলে যায় আল আমিন। গতকাল শুক্রবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে জ্ঞান ফিরে এলে মেয়েটি তাঁর পরিবারের কাছে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। এরই মধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে আল আমিন ও তাঁর লোকজন মেয়েটির পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে। আল আমিনের পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য তদবির শুরু করে। নানা চাপের মুখে মেয়েটির পরিবার ধর্ষণের ঘটনা পুলিশকে জানায়নি। এ সুযোগে বেলা ১২টার দিকে সরমহল গ্রামে আল আমিনের বাড়িতে মেয়ে পক্ষের লোকজন নিয়ে বৈঠক করেন স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যর স্বামী টিপু হাওলাদার, সরমহল গ্রামের সোহেল ফরাজী, রোকন, সোহেল ও দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন। এক পর্যায়ে ধর্ষণের ঘটনার জন্য উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি হয় আল আমিন। পরে স্থানীয় এক কাজী ডেকে দুই লাখ টাকা দেনমহর ধার্য করে বিয়ে পরানো হয়। বিয়ে পরানো কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবে উভয় পরিবার বিয়েতে রাজি হয়েছেন। মেয়ের বয়স হয়নি, বয়স হলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে। নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, এ রকমের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। ধর্ষণ বা বিয়ের বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।