আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

আজ বিশ্ব ‘পুরুষ দিবস’


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ আজ বিশ্ব ‘পুরুষ দিবস’
Spread the love

নারী দিবসের মত বিশ্বজুড়ে পালিত হয় পুরুষ দিবস। নারী দিবসকে যেভাবে পালন করা হয় সেভাবে পুরুষ দিবস পালিত হয় না। এমনকি অনেকে দিবসটি সম্পর্কে জানেনই না। ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। দিবসটি কেন ও কবে থেকে পালিত হচ্ছে তা নিয়েই আজকের আলোচনা।

 

সমাজের প্রতি পুরুষদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয় দিবসটি। দিবসটি পালনের নেপথ্য কারণ মূলত পুরুষদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি পালন করা হয়। পুরুষদের জন্য বিশেষ একটি দিবসের কথা উঠেছিল অনেক আগেই। ১৯৬০ সাল থেকে এমন একটি দিবস পালনের দাবি অনেকেই জানাতে শুরু করেন। বিশ্ব নারী দিবস পালন শুরু হলে এই দাবি আরও জোরালো হয়।‌ ১৯৯২ সালে প্রথম পুরুষ দিবস পালিত হয়। আর ১৯৯৯ সাল থেকে ১৯ নভেম্বর পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব পুরুষ দিবস।

 

নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও রোজকার জীবনে অনেক চাপ সামলাতে হয়। অফিসে কাজের চাপ ছাড়াও বাড়ির নানা দায়িত্ব, ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ, লোনের বোঝা সবকিছু নিয়েই তাদের ভাবতে হয় রোজ। সারাদিন এসব চাপ সামলেও তারা হাসিমুখে থাকেন। আনন্দে রাখেন পরিবারের‌ অন্যদেরও। আমাদের চারপাশের এমন পুরুষরাই সত্যিকারের পুরুষ। পাশাপাশি তারা আমাদের রোল মডেলও।

 

নভেম্বর মাসে তাই তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে একটি বিশেষ দিন। ১৯ নভেম্বর হল বিশ্ব পুরুষ দিবস। এই দিনটি শুধু তাদের উদযাপনের জন্য।

 

পুরুষ দিবস পালনের কার

  • বিশ্ব পুরুষ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো আদর্শ পুরুষদের কথা আরও বেশি করে সবাইকে জানানো। কর্মঠ ও পরিবারের খেয়াল রাখে এমন পুরুষরাই আমাদের রোল মডেল। তাদের গল্প সবাইকে বলাই দিনটির প্রধান লক্ষ্য।
  • পুরুষরা রোজকার জীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ির সদস্যদের খেয়াল রাখা, বাচ্চার যত্ন নেওয়া, তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া ও বড় করে তোলা। এসবের পাশাপাশি নিজের সঙ্গিনীকে ভালো রাখার দায়িত্বও আছে। এছাড়া কেউ বিপদে পড়লে তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। সমাজের প্রতি পুরুষদের এই দায়িত্বের কথাই মনে করিয়ে দেয় দিনটি।
  • রোজকার চাপ সামলাতে সামলাতে পুরুষদেরও নানারকম অসুস্থতা হতে পারে। বিশ্ব পুরুষ দিবস তাদের শরীরের খেয়াল রাখার কথাও মনে করিয়ে দেয়।
  • সমাজে নারীদের মতো পুরুষরাও বেশ কিছু জায়গায় বিষম আচরণের সম্মুখীন হয়। তাদের সেই আচরণ থেকে রক্ষার করার বার্তাও দেয় এই বিশেষ দিন‌।
  • লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনার ব্যাপারে এখন পুরো পৃথিবী সচেতন। এর জন্য নারীর পাশাপাশি কিছু কিছু বিষয়ে পুরুষের অধিকারও সুনিশ্চিত করা দরকার। বিশ্ব পুরুষ দিবস সে কথাগুলোই মনে করায়।‌

 

দিবসটিতে পুরুষদের যেসব বিষয় মনে রাখা জরুরি

  • কান্না পেলে মেয়েরা কাঁদতেই পারে, তবে পুরুষের কেনোভাবেই কান্নাকাটি করা যাবে না- এমন বস্তাপচা ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কান্না পেলে কাঁদুন, তাতে মন হালকা হবে এব‌ং মানসিক জটিলতা কমবে।
  • পুরুষ হলেই খেলাধুলা পছন্দ হতে হবে তা নয়। কোনো পুরুষের যদি ক্রিকেট-ফুটবলের মতো খেলাগুলো অপছন্দ হয়, তবে সেটা তার ব্যক্তিগত পছন্দ। এতে লিঙ্গের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।
  • মান-অভিমান মেয়েদের অধিকার। এই ধারণা নিয়ে বাঁচলে জীবনটা উপভোগ করতে পারবেন না। তার চেয়ে বরং আপনি যেমন, তেমনই থাকুন, তেমন ভাবেই বাঁচুন।
  • ছেলে মানেই টাকাপয়সার বিষয়ে মাথা পরিষ্কার? যে কোনও প্রযুক্তি ঝট করে আয়ত্তে করে ফেলতে পারবেন? একদমই নয়, হতেই পারে, আপনি হাতের কাজে বেশি পটু। খুব সহজেই ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন। হয়তো পাঁচ-সাত রকমের সেলাই আপনার কাছে কোনো ব্যাপারই নয়। তাই নিজে যে বিষয়ে স্বচ্ছন্দ, সেটাতেই মন দিন। কোনো রকম চাপানো ধারণার জন্য জোর করে কোনো কাজ করার চেষ্টা করবে না।
  • পুরুষ মানেই সুঠাম শরীর আদর্শ। না হলে কি আপনি কাঙ্ক্ষিত পুরুষের তালিকায় পড়বেন না? এই ধরনের চিন্তা বদলানোর সময় চলে এসেছে। নিজের শরীর নিয়ে কোনো রকম হীনমন্যতায় ভোগার কোনো কারণ নেই।