আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

বরিশালে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের মানববন্ধন


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২ ১:১০ অপরাহ্ণ বরিশালে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের মানববন্ধন
Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেকারবান্ধব নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধকরণ ও বিসিএস পরীক্ষা থেকে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার প্রার্থীদের বিপক্ষে নীলনকশা (বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজন) বাস্তবায়নের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে বরিশালের ৪০তম বিসিএিস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশী বরিশাল বিভাগীয় অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ অন্যান্য চাকরিপ্রার্থী বেকার ছাত্রসমাজ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

 

পাশাপাশি মানববন্ধনে বক্তারা তাদের ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার তালিকার অপেক্ষমাণ প্রার্থী শ্রমিক বনিক, মাসুম বিল্লাহ, রাসেল মাহমুদ, মো. রায়হান, শাহেলা পারভীনসহ অনান্যরা।

 

মানবন্ধনে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার তালিকার অপেক্ষমাণ প্রার্থীবৃন্দ তাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান। দাবিগুলো হলো, যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় নাই, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের এই বেকারবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

 

বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার এর পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

 

করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রপ্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করতে হবে।

 

যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি চলতি বছরের ২৯ মার্চ, পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমান উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে হবে।

 

বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসি মূল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ “যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়া হবে” এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাঁর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।