দেশের নদ-নদীতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে ভোলার তিন লাখেরও বেশি জেলে। আয়-রোজগার থেকে বঞ্চিত এসব জেলেরা তাদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রণোদনার চাল নিষেধাজ্ঞার দু’সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও পায়নি। ২/১ টি ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হলেও অধিকাংশ ইউনিয়নে এখনো চাল পৌঁছায়নি।
বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে এসব জেলেদের। অন্যদিকে নিবন্ধনের আওতায় আসতে না পারায় লক্ষাধিক জেলে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মৎস্য বিভাগ বলছে, নির্ধারিত জেলেদের মাঝে শীঘ্রই চাল পৌঁছে দেয়া হবে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসূমে মা ইলিশ যাতে অবাধে ডিম ছাড়তে পারে সেজন্য ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশসহ সকল মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলছে। আইন অমান্য করে যারা মাছ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। দেয়া হচ্ছে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ড।
বেকার জেলেদের সংসার নির্বাহের জন্য মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসাবে বরাদ্দ করা হয়েছে জেলে প্রতি ২৫ কেজি চাল। কিন্তু সেই চাল না পেয়ে নিতান্ত পেটের দায়ে নদীতে নামতে বাধ্য হচ্ছে অনেক জেলে।
জেলেরা বলছে, ২২ দিনের মতো দীর্ঘ একটা সময় আয়-রোজগার না থাকার পাশা-পাশি সময়মতো সরকারের প্রণোদনা না পাওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে তাদের সংসার জীবন।
মোঃ বিল্লাল হোসেন/ভোলা