পটুয়াখালীর বাউফলে এলজিইডি অফিসের ৪টি মোটরসাইকেল ও ২টি ল্যাপটপ উপজেলা প্রকৌশলীর বাসায় আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফলে সহকারি প্রকৌশলীরা প্রকল্পের সাইট ভিজিট করার জন্য ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ব্যবহার করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন পরিবার নিয়ে বরিশালে থাকেন। সপ্তাহে ১দিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। দীর্ঘদিন তিনি অফিসের ৪টি মোটর সাইকেল ও ২টি ল্যাপটপ বরিশালের বাসায় আটকে রেখেছেন।
ল্যাপটপ না থাকায় অফিস সহকারি ও উপ সহকারি প্রকৌশলীরা কাজ করতে পারছেন না। প্রকল্পের সিডিউল তৈরিসহ নানা কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এসব কাজ নষ্ট কম্পিউটারে করতে হচ্ছে। এতে সময় অপচয় হচ্ছে। অপরদিকে মোটর সাইকেল আটকে রাখায় বিপাকে পড়েছেন উপসহকারি প্রকৌশলীরা। নিয়মিত তারা প্রকল্পের সাইট ভিজিট করার ক্ষেত্রে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ব্যবহার করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক উপসহকারী প্রকৌশলী বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীর খামখেয়ালিপণার কারনে সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম হচ্ছে। তিনি নিয়মিত অফিস না করায় সহকারীরাও কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেনের কাছ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসের অভ্যন্তরীণ সকল বিষয়ে সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ করা মানায় না। এ বিষয়ে কোন জবাবদিহিতার প্রয়োজন হলে আমার উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ আছে, তারাই দেখবেন।
আরেফিন সহিদ/বাউফল