খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় বিপিএল নিয়ে শংঙ্কা

৬৫ কোটিতেও প্রাণ ফিরছে না বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামের

সৈয়দ বাবু ॥
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০৭ অপরাহ্ণ
৬৫ কোটিতেও প্রাণ ফিরছে না বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামের

বরিশালের ক্রীড়া প্রেমীদের দীর্ঘদিনের গর্ব ছিল বিভাগীয় কবি জীবনানন্দ দাশ স্টেডিয়ামটি। একসময় এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ও যুব ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। কিন্তু বর্তমানে মাঠের চিত্র একেবারে উল্টো। মাঠে গর্ত, ভাঙা গ্যালারি, অকেজো ফ্লাডলাইট আর নষ্ট স্কোরবোর্ড। নির্মানের পর থেকে বড় কোন খেলার আসর বসেনি এ স্টেডিয়ামটিতে। ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশাল স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বনাম শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ চারদিনীয় ম্যাচে অনুষ্ঠিত হয়। এ ম্যাচের মাধ্যমে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পা রাখে (অনুর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক)।

তথ্য মতে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়াম উন্নয়নে ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়। এর আওতায় মাঠ সংস্কার, গ্যালারি, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ড্রেসিংরুম, ইনডোর জিমনেশিয়াম ও নতুন টাওয়ার স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার পর কয়েকটি ধাপে থেমে যায়। এর পরে সর্বশেষ ২০২৪ সালের মে মাসে পুনরায় ঘোষণা আসে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় ৬০ কোটি টাকায় স্টেডিয়ামের ইনডোর ও আউটডোর সুবিধা আধুনিকীকরণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এখনো অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলছে ধীর গতিতে। বরিশাল ক্রিড়া সংস্থার দাবী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়াম উন্নয়নের জন্য যে সকল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তার মধ্যে মেসার্স কহিনুর নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ অত্যন্ত ধীর গতির হওয়ায় আগামী বিপিএলের আসর বরিশাল স্টেডিয়ামে বসবে কিনা তা নিয়ে শংঙ্কায় আছে।

১৯৬৬ সালে নগরীর বান্দ রোড সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই স্টেডিয়ামটি দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া অবকাঠামো। প্রায় ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মাঠে আছে দুইটি ড্রেসিং রুম, প্রেস বক্স, প্রশাসনিক ভবন ও নিরাপত্তা ফটক। ২০০৬ সালে এটি প্রথম আধুনিকায়ন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। সরকারি নথি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে প্রায় ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মাঠের গ্যালারি, ভবন ও পিচ সংস্কার করা হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৫ কোটি টাকার ইনডোর ও আউটডোর উন্নয়ন প্রকল্প যুক্ত হয়। সর্বমোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি টাকার মতো, তবে মাঠের অবস্থা এখনো মানহীন।

বরিশাল জেলা ক্রিড়া কর্মকর্তা ও বরিশাল জেলা ক্রিড়া সংস্থার সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম শুভ বলেন, এত টাকা ব্যয় হলেও মাঠের আউটফিল্ডে এখনো পানি জমে থাকে। ফ্লাডলাইটের কাজ অসম্পূর্ণ, টয়লেট ও পানীয় জলের অভাব, দর্শকদের ভোগান্তি। প্রতিটি কাজে ধীরগতি ও পরিকল্পনার ঘাটতি আছে। বরিশাল জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “ফুটবল ফেডারেশন বরিশাল কয়েকবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু মাঠের মান না থাকায় তারা সরে গেছে। এটা আমাদের জন্য বড় হতাশা।

পিচ ও আউটফিল্ড জাতীয় মানের নিচে। পিচের বলের বাউন্স অনিয়মিত, আর ড্রেনেজে সমস্যা থাকায় বর্ষাকালে মাঠ অচল হয়ে যায়। এই অবস্থায় জাতীয় পর্যায়ের খেলা আয়োজন সম্ভব নয় বলে অভিযোগ করেন বরিশালের কয়েকজন ক্রিকেটার। তারা আরও বলেন, ফ্লাডলাইট, ড্রেনেজ ও ঘাসের মান ঠিক না করলে বিসিবি কোনো বড় ম্যাচ এখানে আয়োজন করবে না। স্থানীয় ফুটবল খেলোয়াড় সোহান রহমান বলেন, আমরা অনুশীলনে যাই, কিন্তু মাঠে পানি জমে থাকে। কখনো কখনো বল কাদা মাটিতে আটকে যায়। এটা খেলোয়াড়দের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

নিয়মিত খেলা দেখতে আসা দর্শক নাসির উদ্দিন বলেন, গ্যালারি ভাঙা, টয়লেট অপরিষ্কার হওয়ার কারনে পরিবার নিয়ে মাঠে আসার মতো পরিবেশ নেই। অথচ এটি বরিশালের গর্ব হতে পারত। বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়াম দক্ষিণাঞ্চলের ক্রীড়া উন্নয়নের প্রতীক হতে পারত। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে অনিয়ম, ধীরগতি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই মাঠ এখন পরিত্যক্ত প্রায়।

৬৫ কোটি টাকার কাজ শেষ হলেও মাঠ প্রাণ ফিরে পাবে কিনা? এটাই এখন বরিশালের ক্রীড়াপ্রেমীদের বড় আক্ষেপ।

ওষুধে মরছে না মশা, অতিষ্ঠ নগরবাসী

রাসেল হোসেন ॥
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৫৬ অপরাহ্ণ
ওষুধে মরছে না মশা, অতিষ্ঠ নগরবাসী

মশার ভনভন শব্দে অতিষ্ঠ বরিশাল নগরবাসী। পুরাতন ওষুধ দিয়ে মশা নিধন করছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)। এতে মরছে না মশা। ফলে বরিশাল নগরীতে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। দিনে রাতে সমানে চলছে মশার অত্যাচার। নগরজীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে মশা। পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বরিশাল সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুরানো নিম্ন মানের ওষুধ দিয়ে বর্তমানে মশা মারা হচ্ছে। ফলে ঠিকমত মরছে না মশা। সর্বশেষ মশা নিধনের ওষুধ সরবরাহের দায়িত্বে ছিল নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড। বর্তমানে এই কোম্পানির সরবরাহকৃত ওষুধ সিটি করপোরেশনের কাছে নেই। ফলে এর আগের সরবরারকৃত কোম্পানি ঢাকার নাস কাডিল গ্রুপের তুলানামূলক নিন্মমানের পুরানো ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে নগরীর কাউনিয়া, নথুল্লাবাদ ও রূপাতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় মশার উৎপাত আগের থেকে বেড়ে গেছে। বাসিন্দারা বলছেন, সন্ধ্যার পর বাসায় বসা যায় না। মশার কামড়ে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না।

রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বলেন, ফগিং মেশিনে ধোঁয়া ছিটায় ঠিকই, কিন্তু মশা তাতে মরে না। বরং ধোঁয়াটা এসে চোখে লাগে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই ধরনের ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মশার মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তাই ওষুধ পরিবর্তন ও মশা নিয়ন্ত্রণ কৌশলে বৈচিত্র্য আনা দরকার।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন শাখার কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের সরবরাহকৃত ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য পুরানো ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন ওষুধ আসলে সেটাই ব্যবহার করা হবে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল বারী বলেন, মশা নিধনের নতুন ওষুধের জন্য টেন্ডার কল করা হয়েছে। অতি দ্রুত নতুন মশা মারার ওষুধ পেয়ে যাব।

শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ, আত্মপক্ষ সমর্থন ১৭ নভেম্বর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:১৪ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ, আত্মপক্ষ সমর্থন ১৭ নভেম্বর

পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে এই মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৭ নভেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ-৫–এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালত আজ সোমবার এই তারিখ ধার্য করেন।

আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাতকে আসামি খুরশীদ আলমের আইনজীবী শাহিন উর রহমান জেরা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা শেষ হওয়ায় আইনানুযায়ী আদালত আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের তারিখ ধার্য করেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দিন মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, শেখ হাসিনা ছাড়াও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়েছে। আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আংশিক জেরা হয়েছে।

এই তিন মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি খুরশীদ আলমের পক্ষে আইনজীবী শাহিন উর রহমান জেরা করেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের পক্ষে জেরার সুযোগ নেই। ১৭ নভেম্বর জয়ের মামলায় বাদীর সাক্ষ্য ও জেরার দিন, আর পুতুলের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জেরার তারিখ ধার্য করেন আদালত।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম জানান, জয়ের মামলায় ২৮ ও পুতুলের মামলায় ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে বরাদ্দ নেওয়া প্লটের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সেদিন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন জানিয়েছিলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর সড়কের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে-মেয়ের নামে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে আলাদা ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অন্য মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সব কটি মামলায় গত ১০ মার্চ অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় দুদক।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকার সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তাঁরা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হলেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ছয়টি প্লট তাঁদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। এর পর থেকে শেখ রেহানা ও তাঁর তিন ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে করা আলাদা তিন মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এসব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসামি।

পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন, বলছে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন, বলছে পুলিশ

পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত ব্যক্তির বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলছে, নিহত ব্যক্তির নাম তারিক সাইফ মামুন (৫৫), তিনি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে।

পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি একসময় আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন, তবে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

আরও পড়ুন

গাড়ি থেকে নামলেন, ৬ থেকে ৭টি গুলি, পড়ে গেলেন রক্তাক্ত মামুন

গাড়ি থেকে নামলেন, ৬ থেকে ৭টি গুলি, পড়ে গেলেন রক্তাক্ত মামুন

তারিক সাইফ মামুনের জাতীয় পরিচয়পত্র
তারিক সাইফ মামুনের জাতীয় পরিচয়পত্রছবি: পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া

গুলির ঘটনার সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজ প্রথম আলোর হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। তখন দুই ব্যক্তি খুব কাছে থেকে তাঁকে গুলি করছেন। ঘটনাটি ঘটে তিন থেকে চার সেকেন্ডের মধ্যে। গুলি করার পর দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

মামুনের পরিবার বলছে, তিনি দুই দিন ধরে রাজধানীর বাড্ডার ভাড়া বাসায় ছিলেন। আজ সকালে একটি মামলায় আদালতে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য তিনি সকালে বাসা থেকে বের হন।

মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ধারণা করছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের লোকজন এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও ইমনের লোকজন মামুনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ব্যক্তির স্বজনের আহাজারি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ব্যক্তির স্বজনের আহাজারিছবি: প্রথম আলো

পুলিশ জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও মামুন একসময় হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাঁদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তাঁরা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, মামুনের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। তাঁর জন্ম ১৯৭০ সালে।

রাজধানীর কোতোয়ালি থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াসিন বলেন, গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে যান। গিয়ে দেখেন, এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন

পুরান ঢাকায় হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে স্বজনের আহাজারি। আজ সোমবার সকালে

প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, দুজন ব্যক্তি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের প্রবেশমুখে এসে ওই ব্যক্তিকে (মামুন) পেছন থেকে গুলি করেন। বেশ কয়েকটি গুলি করার পর ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর গুলি করা ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল পালিয়ে যান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।