খুঁজুন
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বদলে যাচ্ছে ডিসি-ইউএনও পদের নাম, আরও যেসব পরিবর্তন আসছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:২৮ অপরাহ্ণ
বদলে যাচ্ছে ডিসি-ইউএনও পদের নাম, আরও যেসব পরিবর্তন আসছে

জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদের নাম পরিবর্তনসহ সংস্কার কমিশনের ১০টি সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে গত জুলাইয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে আমূল বদলে যাবে জনপ্রশাসনের প্রশাসনিক কাঠামো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী গঠন করা হচ্ছে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস)। বিভিন্ন ক্যাডার থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে এই সার্ভিসে যোগ দেওয়া যাবে। এসইএসের অধীনে থাকবে উপ-সচিব থেকে সচিবের সব পদ।

বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ডিসির পদবি পরিবর্তন করে ‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কমিশনার’ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদবি পরিবর্তন করে ‘উপজেলা কমিশনার’ করার পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিকে (নিকার) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই এসব বাস্তবায়ন করা হবে।

জানা গেছে, সব সার্ভিস থেকে অধিকতর মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে উপ-সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলোর জন্য সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) গঠনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। সব সার্ভিস থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে এসইএসে নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে মেধার প্রাধান্য নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি আন্তঃসার্ভিস অসমতা দূর হবে বলে মত সংস্কার কমিশনের। অন্তত ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যেকোনো সার্ভিসের সিনিয়র স্কেলপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসইএসের উপসচিব পদের জন্য আবেদন করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

পাবলিক সার্ভিস কমিশন এই পরীক্ষা নিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠাবে। উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদের জন্য প্রতিবছর একবার করে আলাদাভাবে এই পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষায় কেউ একবার উত্তীর্ণ হতে না পারলে পরের ব্যাচে আরেকবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। কোনো কর্মকর্তা এসইএসে প্রবেশের পরীক্ষায় পর পর দুইবার অকৃতকার্য হলে তিনি আর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। এসইএসে প্রবেশের পর কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে সম্মিলিত পরীক্ষার মেধাক্রম অনুসারে। কোনো বিশেষায়িত সার্ভিসের কোনো কর্মকর্তা একবার এসইএসে প্রবেশের পর তিনি আর তার আগের সার্ভিসে ফেরত যেতে পারবেন না। এসইএস পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সব সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে সম্মিলিত মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।

বর্তমানে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে থাকা কর্মকর্তাদের সবাই এসইএস গঠনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে এতে অন্তর্ভুক্ত হবেন। সচিব, মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদসচিবও স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসইএসের সদস্য হবেন। আর একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা কমিটি অতিরিক্ত সচিবদের মধ্য থেকে বাছাই করে সচিব এবং সচিবদের মধ্য থেকে মুখ্য সচিব পদে পদোন্নতির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাবে।

এসইএস গঠন হলে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী কমিশনার বা উপজেলা কমিশনার, জেলা কমিশনার (বর্তমানে জেলা প্রশাসক), অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনার পদে পদায়িত হবেন। জেলা কমিশনার পদটি এসইএসের জন্য বরাদ্দ থাকলেও সেখানেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়নের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এ ক্ষেত্রে একই পদে তিনি এসইএস কর্মকর্তার সমমান পাবেন না। এ ছাড়া ‘অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)’ পদবি পরিবর্তন করে ‘অতিরিক্ত জেলা কমিশনার (ভূমি ব্যবস্থাপনা) করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দক্ষ, জনমুখী, শিক্ষার্থীবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে জনপ্রশাসনের নানা ক্ষেত্রে দুই শতাধিক সংস্কার প্রস্তাবের সুপারিশ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

বর্তমানে উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদগুলোকে সরকারের পদ বলা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। যদিও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত শতভাগ পদে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছেন। আর প্রশাসন ক্যাডার বাদে অন্য সব ক্যাডারের কর্মকর্তারা পরীক্ষা নিয়ে উপসচিবের শতভাগ পদে পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন।

 

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে অঙ্গীকার নিয়ে ধানমন্ডির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এমন দাবি করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত ৫৪ বছর ও ১৫ বছরের জঞ্জাল কাটিয়ে উঠে চট করে দুর্নীতিমুক্ত দেশ করা সম্ভব নয়। এর জন্য সময় লাগবে। দেশে দুর্নীতি বেড়েছে না কমেছে, সে হিসেব টিআইবি এখনও করেনি। তবে দুর্নীতি অব্যাহত আছে।

নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে টিআইবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ক্যাপিটাল পেশিশক্তি, অর্থ ও ধর্মের বিষয়ে নির্বাচনি ইশতেহারে পরিষ্কার করা উচিত।’

সরকার পরিচালনায় দুর্নীতি প্রতিরোধ, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনে দলগুলোর অবস্থান ইশতেহারে তুলে ধরা উচিত বলেও মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

 বরিশাল শহরের ফকিরবাড়ি এলাকায় জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত শতবর্ষী পুকুরটি রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ভরাটের অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কর্পোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে বালুমাটি এনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে রাতারাতি পুকুর ভরাটের সত্যতা মিলেছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ প্রদান করেছে। নোটিশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জলাধার ভরাট সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং অতি দ্রুত পুকুর পুনরুদ্ধার ও সৌন্দর্যবর্ধনের প্রতিশ্রুতি দেন। ইয়ুথনেট গ্লোবালের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান শুভ বলেন, “বরিশালে সামান্য বৃষ্টিতেই ফকিরবাড়ি, কালিবাড়ি ও আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে যায়।

 

এ অবস্থায় এই পুকুরটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ জলাধার। বিস্ময়ের ব্যাপার—এত বড় ক্যাম্পাসে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ভারী বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিল এই পুকুরটি। অজানা কারণে রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে পুকুরটি পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।” পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুদ্দিন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভরাটের সত্যতা পাই। আমরা লিখিত নোটিশ পাঠিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে পুকুর পুনরুদ্ধার না করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বরিশালের নগর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ ধরনের জলাধারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধভাবে জলাধার ভরাটের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ও নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

ভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তারিখটিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ইসি। তবে ৮ ফেব্রুয়ারিকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এক নির্বাচন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা তফসিল ঘোষণার তারিখ ও ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করেছি। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।

 

কবে ভোট হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি নির্দিষ্ট তারিখ বলব না, কারণ তাতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে পড়ব। তবে ভোটের জন্য দুটি নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারি—একটি ৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার), আরেকটি ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। এ দুই তারিখের একটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেটি আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিংবা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)।

 

তফসিল বা ভোট পিছাতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জটিল কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে তফসিল পেছাবে না। আর যদি কোনো কারণে তফসিল পিছিয়েও যায়, তারপরও ভোট নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে, কারণ আমাদের হাতে এখনো অনেক সময় আছে।

 

তফসিল ঘোষণা ও ভোটের তারিখ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান  বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ভোটের কয়েকটি তারিখ আলোচনা করেছি। আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) এ নিয়ে বৈঠক হবে। রোববারের সিদ্ধান্তের পর থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।

 

ইসি জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একটি রেওয়াজ আছে। সেই রেওয়াজ ভাঙা হবে না। তবে তফসিল ও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কমিশন। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।

সূত্র জানায়, আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ৮ কিংবা ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।

 

 

সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সময়সূচি ঘোষণার আগে প্রতিবারই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই এবারও সেই রেওয়াজ বজায় রেখে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ১০ ডিসেম্বর ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাতের পর ওই সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ইতোমধ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের খসড়াও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।

ইসি সূত্র জানায়, ঘোষণায় বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ভোটারের নিরাপত্তা, আচরণবিধি প্রতিপালনসহ নানা নির্দেশনা থাকবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দল ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।

এর আগে জানানো হয়েছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের জন্য পৃথক রঙের দুটি ব্যালট দেওয়া হবে। একই দিনে দুটি নির্বাচন হওয়ায় এবার ইসিকে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

 

জানা যায়, আগের ১২টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দ্বিতীয়, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। অষ্টম ও নবম নির্বাচন হয়েছে সোমবার। প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম নির্বাচন হয়েছে বুধবার। আর চতুর্থ ও ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। সার্বিক হিসাবে ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখই বেশি আলোচনায় রয়েছে।

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সরকার থেকে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার, অতিরিক্ত গোপন কক্ষ, বাজেট বৃদ্ধি—এমন আরও বেশ কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন-বিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও শেষ হয়েছে। এখন বাজেট নিয়ে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন।