খুঁজুন
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ক্রেতাদের সঙ্গে এখন নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে: ফয়সাল সামাদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
ক্রেতাদের সঙ্গে এখন নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে: ফয়সাল সামাদ

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে এখন ক্রেতাদের সঙ্গে নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে এবং খরচ, সুযোগ ও সম্প্রসারণের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।

আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কামনোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন।

ফয়সাল সামাদ বলেন, ‘প্রথমত একজন গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক হিসেবে, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একজন বোর্ড সদস্য হিসেবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গত এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত প্রাথমিক শুল্ক ও ভবিষ্যতে আরও উচ্চতর শুল্কের সম্ভাবনা আমাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। ওই দিন থেকে বৈশ্বিক বাণিজ্য আলোচনা এক নতুন মোড় নেয়—পশ্চিম থেকে পূর্ব, সবাই নিজেদের জন্য সেরা চুক্তি আদায়ের চেষ্টা চালায়।’

বিজিএমইএর এই পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার শুরুতে কিছুটা দ্বিধায় ছিল, কারণ, আলোচনাটি ছিল কঠিন কিছু নন-ডিসক্লোজার চুক্তির সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ। তবে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ, তথ্য বিশ্লেষণ এবং পরে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সংশ্লিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়ার মাধ্যমে আমরা একটি সর্বোত্তম সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসল কাজটি এখন শুরু। এই শুল্কহার, যা তুলনামূলকভাবে ভারতের চেয়ে কম এবং ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার সমান, তা সত্ত্বেও শিল্প খাতে অতিরিক্ত খরচের প্রভাব পড়বে। আমাদের এখন ক্রেতাদের সঙ্গে নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে এবং খরচ, সুযোগ ও সম্প্রসারণের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে—বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশের উদ্দেশ্যে। যদিও চীন এই মুহূর্তে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে, তাকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ, বিগত তিন মাসের তথ্য বলছে—সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপিত হওয়া সত্ত্বেও চীনের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়নি। বরং চীন আবারও নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার কৌশল খুঁজে পেয়েছে।’

বিজিএমইএ পরিচালক আরও বলেন, ‘কৃতজ্ঞতা জানাই সেসব ব্যক্তির প্রতি, যাঁরা এই জটিল আলোচনার অংশ ছিলেন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে গঠনমূলক ভূমিকা রেখেছেন। এখন সময় এসেছে প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়র। আমাদের প্রয়োজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকার, নীতিনির্ধারক, নাগরিক সমাজ, শ্রমিক ফেডারেশন ও সব বাণিজ্য সংগঠনকে একত্রিত করে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা নেওয়ার। কারণ, যদি আমরা সঠিকভাবে ও সম্মিলিতভাবে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারি, তাহলে এই অর্থনৈতিক পরিবর্তন আমাদের দেশের জন্য এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। বিজিএমইএ প্রেসিডেন্টসহ আমরা যারা বোর্ডে রয়েছি, সবাই মিলে তথ‍্যউপাত্তগুলো পর্যালোচনা করে সম্ভাবনাগুলো আরও সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।’

তিনি আরও বলেন, এই শুল্কহার যদি পুরোটা ক্রেতাদের ওপর চাপানো হয়, তবে ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। তাই এখন যেটা হবে, সেটা হলো, এই শুল্কহার তিন ভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে। যদিও বায়ারদের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি। তবে বাস্তবতার আলোকে এটা বলা যায় যে, বায়াররা শুল্কের একটা ভাগ রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দেবে। কিছুটা তারা রাখবে, আর কিছুটা পণ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে দেবে, যা ভোক্তার ওপর পড়বে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে অঙ্গীকার নিয়ে ধানমন্ডির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এমন দাবি করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত ৫৪ বছর ও ১৫ বছরের জঞ্জাল কাটিয়ে উঠে চট করে দুর্নীতিমুক্ত দেশ করা সম্ভব নয়। এর জন্য সময় লাগবে। দেশে দুর্নীতি বেড়েছে না কমেছে, সে হিসেব টিআইবি এখনও করেনি। তবে দুর্নীতি অব্যাহত আছে।

নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে টিআইবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ক্যাপিটাল পেশিশক্তি, অর্থ ও ধর্মের বিষয়ে নির্বাচনি ইশতেহারে পরিষ্কার করা উচিত।’

সরকার পরিচালনায় দুর্নীতি প্রতিরোধ, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনে দলগুলোর অবস্থান ইশতেহারে তুলে ধরা উচিত বলেও মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

 বরিশাল শহরের ফকিরবাড়ি এলাকায় জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত শতবর্ষী পুকুরটি রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ভরাটের অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কর্পোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে বালুমাটি এনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে রাতারাতি পুকুর ভরাটের সত্যতা মিলেছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ প্রদান করেছে। নোটিশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জলাধার ভরাট সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং অতি দ্রুত পুকুর পুনরুদ্ধার ও সৌন্দর্যবর্ধনের প্রতিশ্রুতি দেন। ইয়ুথনেট গ্লোবালের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান শুভ বলেন, “বরিশালে সামান্য বৃষ্টিতেই ফকিরবাড়ি, কালিবাড়ি ও আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে যায়।

 

এ অবস্থায় এই পুকুরটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ জলাধার। বিস্ময়ের ব্যাপার—এত বড় ক্যাম্পাসে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ভারী বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিল এই পুকুরটি। অজানা কারণে রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে পুকুরটি পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।” পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুদ্দিন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভরাটের সত্যতা পাই। আমরা লিখিত নোটিশ পাঠিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে পুকুর পুনরুদ্ধার না করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বরিশালের নগর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ ধরনের জলাধারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধভাবে জলাধার ভরাটের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ও নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

ভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তারিখটিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ইসি। তবে ৮ ফেব্রুয়ারিকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এক নির্বাচন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা তফসিল ঘোষণার তারিখ ও ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করেছি। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।

 

কবে ভোট হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি নির্দিষ্ট তারিখ বলব না, কারণ তাতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে পড়ব। তবে ভোটের জন্য দুটি নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারি—একটি ৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার), আরেকটি ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। এ দুই তারিখের একটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেটি আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিংবা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)।

 

তফসিল বা ভোট পিছাতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জটিল কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে তফসিল পেছাবে না। আর যদি কোনো কারণে তফসিল পিছিয়েও যায়, তারপরও ভোট নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে, কারণ আমাদের হাতে এখনো অনেক সময় আছে।

 

তফসিল ঘোষণা ও ভোটের তারিখ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান  বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ভোটের কয়েকটি তারিখ আলোচনা করেছি। আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) এ নিয়ে বৈঠক হবে। রোববারের সিদ্ধান্তের পর থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।

 

ইসি জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একটি রেওয়াজ আছে। সেই রেওয়াজ ভাঙা হবে না। তবে তফসিল ও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কমিশন। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।

সূত্র জানায়, আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ৮ কিংবা ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।

 

 

সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সময়সূচি ঘোষণার আগে প্রতিবারই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই এবারও সেই রেওয়াজ বজায় রেখে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ১০ ডিসেম্বর ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাতের পর ওই সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ইতোমধ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের খসড়াও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।

ইসি সূত্র জানায়, ঘোষণায় বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ভোটারের নিরাপত্তা, আচরণবিধি প্রতিপালনসহ নানা নির্দেশনা থাকবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দল ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।

এর আগে জানানো হয়েছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের জন্য পৃথক রঙের দুটি ব্যালট দেওয়া হবে। একই দিনে দুটি নির্বাচন হওয়ায় এবার ইসিকে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

 

জানা যায়, আগের ১২টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দ্বিতীয়, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। অষ্টম ও নবম নির্বাচন হয়েছে সোমবার। প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম নির্বাচন হয়েছে বুধবার। আর চতুর্থ ও ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। সার্বিক হিসাবে ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখই বেশি আলোচনায় রয়েছে।

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সরকার থেকে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার, অতিরিক্ত গোপন কক্ষ, বাজেট বৃদ্ধি—এমন আরও বেশ কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন-বিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও শেষ হয়েছে। এখন বাজেট নিয়ে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন।