কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করলে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেছেন, হারাম ও কোনো বাতিলের সঙ্গে আপস নেই। বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বলেছি, তারা যদি ক্ষমতায় গিয়ে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আব্দুল হামিদ সরকারকে তওবা করে ভালো হয়ে ফিরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই মাটি আলেম-ওলামার মাটি, এই মাটি পীর-দরবেশের ঘাঁটি। এখানে যত বজ্জাতি-শয়তানি করেছো, ভালো হয়ে যাও। অন্যথায় খুনি হাসিনার মতো দেশ থেকে পালাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সদস্য ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং দেশ-বিদেশের শীর্ষ আলেম-ওলামা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি আদায়ে প্রয়োজন হলে ঢাকা অবরোধ, সংসদ অভিমুখে লংমার্চ ও সচিবালয় বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন।
মহাসম্মেলন থেকে কাদিয়ানীদের ইসলামি পরিচয় বন্ধ, তাদের সব বিতর্কিত ও ইসলামবিরোধী প্রচারণা নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। এগুলো বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে তিন দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গণস্বাক্ষর, মে-জুন মাসে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিভাগীয় সম্মেলন আয়োজন।
শান্তিপূর্ণ এসব কর্মসূচি পালনের পরও দাবি বাস্তবায়িত না হলে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন আহ্বান করা হবে বলে জানানো হয়।

আপনার মতামত লিখুন
Array