খুঁজুন
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ঝালকাঠিতে অটোরিকশা ও ভ্রাম্যমাণ বাজার, সড়কে চলা দায়

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
ঝালকাঠিতে অটোরিকশা ও ভ্রাম্যমাণ বাজার, সড়কে চলা দায়

ঝালকাঠি শহরে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং সড়কে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

শহরের বাসস্ট্যান্ড, কলেজ মোড়, পূর্ব চাঁদকাঠি চৌরাস্তা, ফায়ার সার্ভিস মোড়, সাধনার মোড়, কালীবাড়ি রোড, সদর চৌরাস্তা, কামারপট্টি, কুমারপট্টি গার্লস স্কুল রোড ও পালবাড়ী মোড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার কারণে মিনিটের পথ পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।

জানা গেছে, ২০১১ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার জনসংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ২৯ জন। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ হাজার ১৬৮ জনে (পুরুষ ৩৭,৫২৬ ও নারী ৩৮,৬৪২ জন)। দ্রুত নগরায়ণের ফলে বর্তমানে আনুমানিক ৬৮ থেকে ৭০ হাজার মানুষ শহরে বসবাস করছেন। প্রতিদিন কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও যাত্রী মিলিয়ে অতিরিক্ত কয়েক হাজার মানুষ শহরে প্রবেশ করায় রাস্তায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, আগে ১ হাজার ১৭৫টি অটোরিকশার লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে বৈধ স্মার্ট লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৭৫০টি। কারণ একজন চালককে কিংবা গাড়ির মালিককে একটির বেশি লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে না। অথচ প্রতিদিন রাস্তায় কয়েক হাজার অটোরিকশা চলছে, যার অধিকাংশই রেজিস্ট্রেশনবিহীন।

ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত এবং সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনা আক্তার বলেন, ‘অটোরিকশার কারণে শহরের মধ্যে এতটাই যানজট হয় যে, আমরা হেঁটেও স্কুলে পৌঁছাতে পারি না। এমনকি ফুটপাতগুলোও দখল করে রাখা হয়েছে।’

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সচালক বাচ্চু বলেন, ‘শহরের মধ্যে তীব্র যানজটের কারণে রোগী পরিবহনে আমরা বিপদে পড়ি। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরি শব্দযন্ত্র ব্যবহার করলেও যানজটের কারণে পথ মেলে না।’

শহরের হোগলাপট্টি থেকে শীতলা খোলা মোড় এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত প্রতিদিন মাছ, মুরগি, সবজি ও ফল বিক্রি হচ্ছে। কেউ ভ্যান গাড়িতে, কেউ মাটিতে পশরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন। এতে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া হোগলাপট্টি থেকে সাধনার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ফুটপাত স্থায়ী দোকানগুলোও দখল করে ব্যবসা করছে, যে কারণে পথচারীরা ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন।

জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ দোকানদারেরা বলেন, ‘আমাদের দোকান ভাড়া দিয়ে এত খরচের মধ্যে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। তাই রাস্তার ওপর বিকল্পভাবে কাজ করে কেবল জীবিকা নির্বাহ করছি। যদি ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান বা বাজারের ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হতো।’

অন্যদিকে স্থায়ী দোকানদারদের অভিযোগ, লাখ লাখ টাকা খরচ করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। অথচ রাস্তার দোকানদাররা বিনা মূল্যে কম দামে পণ্য বিক্রি করে ক্রেতা টানছেন। ফলে তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। কালীবাড়ি রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী তূর্য বলেন, ‘যানজট এবং ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে ক্রেতারা শহরে আসতে চায় না। ব্যবসা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. রহমত মিয়া বলেন, ‘অবৈধ অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে যানজট কমানো সম্ভব নয়। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, শহরে কোথাও আগুন লাগা বা দুর্ঘটনার খবর পেলে দ্রুত পৌঁছাতে হয়। কিন্তু যানজটের কারণে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া খুব কষ্টসাধ্য। অনেক সময় সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় আগুন নিয়ন্ত্রণ বা আহতদের উদ্ধার কাজে দেরি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযান প্রায়ই লোকদেখানো। মাঝেমধ্যে পরিচালিত হলেও পরবর্তী সময়ে আগর মতো যানজট দেখা দেয়। এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন বলেন, শহরের ভেতরে রাস্তার দুই পাশে দোকান বসানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। বর্ষাকালে গ্রামে কাজ কম থাকায় অনেকেই শহরে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চালাচ্ছেন। মানবিক কারণে কিছুদিন অভিযান শিথিল করা হয়েছিল। তবে অতিরিক্ত ভিড় ও যানজটের কারণে এখন আবার অভিযান চলছে।

 

বরিশালে হাফভাড়া নিয়ে শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত ৪০

এইচ আর হীরা
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:০০ অপরাহ্ণ
বরিশালে হাফভাড়া নিয়ে শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত ৪০

 

  • অর্ধশতাধিক বাসে ভাঙচুর

  • আগুন–অবরোধে অচল মহাসড়ক

বরিশালে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া প্রাপ্যতা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অর্ধশতাধিক বাসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় মহাসড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন তারা।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এ সংঘর্ষ শুরু হয়, যা রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম।

শ্রমিক নেতা আরজু মৃধা জানান, কলেজ বন্ধের দিন হাফভাড়া নিয়ে এক বাস শ্রমিকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর বিতণ্ডা বাঁধে। পরে ব্রজমোহন কলেজের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করে এবং শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে বহু শ্রমিক আহত হন বলে দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে বিএম কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, মুলাদী থেকে বরিশাল আসার পথে এক শিক্ষার্থী হাফভাড়া চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বাস শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে তারা বাসস্ট্যান্ডে সমবেত হয়ে শ্রমিকদের বিচারের দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, দাবি জানাতে গেলে উল্টো শ্রমিকরাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

ওসি মামুন উল ইসলাম বলেন, “শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত করতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা কাজ করছি।”

রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাস ও সড়ক অবরোধের কারণে নথুল্লাবাদ এবং সংলগ্ন সড়কগুলোতে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে।

ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নিয়েছে।

বাজার জাটকা ইলিশে সয়লাব , প্রশাসনের নেই তদারকি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:১৭ অপরাহ্ণ
বাজার জাটকা ইলিশে সয়লাব ,  প্রশাসনের  নেই তদারকি

বরিশালের বাকেরগঞ্জে মাছের বাজারগুলো এখন জাটকা ইলিশে সয়লাব। প্রশাসনের অবহেলায় মাছের বাজারে মিলছে এসব জাটকা ইলিশ। ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের কম আকারের ইলিশকে ‘জাটকা’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আকারের ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে জেল-জরিমানার তোয়াক্কা করছেন না উপজেলার জেলে ও বিক্রেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি মাছবাজারেই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ছয় থেকে সাত ইঞ্চি আকারের জাটকা ইলিশ। উপজেলার এমএ বাড়ি বাজারে নিলামের মাধ্যমে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জাটকা বিক্রি বন্ধে বাজারগুলোতে মৎস্য অফিস ও প্রশাসনের তদারকি নেই। তাই জেলেরা শিকার করে প্রকাশেই এসব জাটকা হাটবাজারে এনে বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জাটকা বিক্রি হচ্ছে উপজেলার নাকের ডগায় এমএ বাড়ি মাছবাজারে। নদী থেকে মাছ এনে ডালায় ঢেলে ডাক তোলেন আড়তদাররা। ডাকের মাধ্যমে মাছ কিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে বসে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এ ছাড়া উপজেলার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পৌর বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বাজারে জাটকা মাছ বিক্রি করতেও দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। তবে এ সময় জাটকা বিক্রি বন্ধে প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় জেলে নির্মল বলেন, জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা মাছ ধরেন। তারা সেই মাছ বাজারে বিক্রি করেন।

বাকেরগঞ্জ পৌর বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্বাস সরদার বলেন, অন্য মাছ ব্যবসায়ীরাও জাটকা বিক্রি করেছেন। প্রশাসন যদি জাটকা শিকার বন্ধ করে দিতে পারে, তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।

জাহিদ মোল্লা নামে একজন জানান, উপজেলার তুলাতলি, কারখানা, পান্ডব, রাঙামাটি, বিষখালি নদীতে জাটকা শিকার করে স্থানীয় আড়ত ও হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি বছর প্রশাসন কিছু কিছু অভিযান চালালেও এবার এখনো কোনো অভিযান চোখে পড়েনি। দ্রুত জাটকা নিধন বন্ধের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। যখন তখন অভিযান করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি খোঁজ নিয়েছি, নিয়মিত নদীতে জাটকা নিধন ও বাজারে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে। দ্রুতই আমরা হাটবাজারে অভিযান পরিচালনা করব।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি জেনেছি। খুব দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে এবং তা বহাল থাকবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই আট মাস জাটকা আহরণ, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে বড় আকারের ইলিশ ধরতে কোনো বাধা নেই।

অপসোনিন শ্রমিকদের বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
অপসোনিন শ্রমিকদের বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

চাকরি পুনর্বহালসহ দুই দফা দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন অপসো স্যালাইন ফার্মার ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা। শনিবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১২টা থেকে বরিশাল নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শত শত যাত্রীকে।

শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা ও এস এল ফার্মা লিমিটেডে পরিশ্রম করে আসছেন। প্রথমে দৈনিক বেসিক রুলে প্রতিদিন ২২০ টাকার হাজিরায় কাজ করার পর প্রতিষ্ঠানটি তাদের মাস্টাররোলে অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় হঠাৎ করেই ৫৭০ জন শ্রমিককে বিনা নোটিশে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেয়া হয়। এতে শ্রমিকদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

শ্রমিকরা বলেন, আমাদের ছাঁটাই করে কোম্পানি নতুনভাবে ১২০০ শ্রমিক নিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছে। এটা স্পষ্টভাবে আমাদের সঙ্গে অন্যায় ও ষড়যন্ত্র।

বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে অপসো স্যালাইন ফার্মার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এ কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।