খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ২৯ কার্তিক, ১৪৩২

বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলে জুলাই সনদে সই করবে এনসিপি: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলে জুলাই সনদে সই করবে এনসিপি: আখতার

বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলে জুলাই জাতীয় সনদে সই করবে এনসিপি বলে জানিয়েছেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।

আজ শনিবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন এনসিপির সদস্যসচিব। জাতীয় সংসদের এলডি হলে সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টা এই বৈঠক চলে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হতে যাচ্ছে, তা জানতে গিয়েছিল এনসিপি। কমিশন তাদের জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একটি সাংবিধানিক আদেশের খসড়া প্রণয়ন চলছে। এনসিপি নেতারা জানান, কমিশন তাদেরকে এই খসড়া দেখায়নি।

আখতার হোসেন বলেছেন, শুধু স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব না। বাস্তবায়নের জায়গাটা সুনিশ্চিত হলে এনসিপির জুলাই সনদে স্বাক্ষরে আগ্রহী। কমিশন জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, একে অগ্রগতি হিসেবে দেখি। আদেশে কী আছে- তা উপস্থাপনে অপারগতা প্রকাশ করেছে কমিশন, যা আমাদেরকে আশাবাদী হতে দেয়নি।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন করেছে। নতুন নিয়মে পলাতক আসামিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। জোটের প্রার্থীদেরও দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। বিএনপি এবং দলটির সমমনারা এই নিয়মে প্রশ্ন তুলে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে। এই দলগুলো ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়।

জামায়াতে ইসলামীর মত এনসিপিও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতাকে সমর্থন করছে। বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সংশোধনী ইতিবাচক হিসেবে দেখি। খেয়াল করেছি, আরপিওতে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে। আরপিওর সংশোধনী বাতিলে আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদনের কথা বলছে। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।

আখতার হোসেন বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী আটকে দেওয়ার যে মানসিকতা, তাতে মনে হয়, সরকারের কোনো বিশেষ উপদেষ্টার কোনো কোনো দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে। যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে আবারও প্রতীয়মান হবে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এনসিপির এই নেতা বলেন, কোনোভাবেই জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে যাতে জুলাই সনদ কাগুজে দলিল হিসেবে জাতির কাছে বাস্তবায়ন পরিপন্থিভাবে উপস্থাপিত না হয়। এ ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনকে সর্বাধিক খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়েছি।

এনসিপির সদস্যসচিব বলেছেন, সংস্কারের আলোচনা সমাপ্ত করে বিচারের রোডম্যাপ প্রকাশ করে তারপরে সরকার নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে। এখনো সময় রয়েছে; সরকার চাইলে এই সময়ের মধ্যেই গণভোটের তারা প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারির বিরোধী। দলটি বলছে, সংস্কারের জন্য প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গণভোটই যথেষ্ট। আগামী নির্বাচনের দিনে হবে গণভোট। এতে দ্বিমত জানিয়ে আখতার বলেছেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে—যে আদেশ জারি করা হবে, তাতে কী তা পরিষ্কার করা। নয়তো শুধুমাত্র গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়নকে সুরক্ষা দিতে পারবে না।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বৈঠকে ছিলেন। এনসিপির পক্ষে ছিলেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

দেশে আগুনসন্ত্রাস-ককটেলবাজি, জনমনে উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
দেশে আগুনসন্ত্রাস-ককটেলবাজি, জনমনে উদ্বেগ
দুই দিনের মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুনসন্ত্রাস ও ককটেলবাজির ঘটনা ঘটেছে। এমনকি বাসে অগ্নিসন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন গাড়ির চালক। এ ধরনের সন্ত্রাস-নাশকতার কারণে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। যদিও নাগরিকদের জানমালের সুরক্ষায় কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমনকি এসব ঘটনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায় কবে, তার তারিখ ঘোষণা হবে আগামী ১৩ নভেম্বর। দিনটিকে ঘিরে হাসিনার দল কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিদেশে পলাতক নেতাদের বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধমকি দিতে দেখা গেছে। তারা ১৩ নভেম্বর কথিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমনকি বিদেশে নিরাপদে ভোগবিলাসে জীবনযাপন করতে থাকা আওয়ামী লীগের অ্যাক্টিভিস্টদের অনেকের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নাশকতার পরিকল্পনা-পরামর্শও প্রকাশ হতে দেখা গেছে।

এর মধ্যে গত ৭ নভেম্বর রাতে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চের গেটে মোটরসাইকেল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এছাড়া চার্চের গেটে আরেকটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়।

এরপর সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোরে মেরুল বাড্ডার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে আকাশ পরিবহনের একটি বাসে এবং শাহজাদপুর বাঁশতলায় ভিক্টর ক্লাসিক নামের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্তা মরিয়ম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এদিন গভীর রাতে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে এবং ওই এলাকায় ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টেরের সামনে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ভোরে উত্তরার জনপথ মোড়ে রাইদা পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন লাগার খবর আসে। এছাড়া রাত ২টা ৩৬ মিনিটে ভাটারা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত প্রাইভেট কারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

কিছুদিন ধরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রচেষ্টা করছে, বিশেষ করে ঢাকা শহরে।

অন্যদিকে এদিন ভোরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে বাসের ভেতরেই ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান গাড়িটির চালক জুলহাস মিয়া। ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ভালুকজান বাজারের পেট্রল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে মিরপুর, ধানমন্ডি, বাংলামোটর, মোহাম্মদপুর ও খিলগাঁও ফ্লাইওভার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সোমবার রাত ১১টার পরে বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনে মোটরসাইকেলযোগে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতা মাসুদুর রহমান (২৮) নামে এক যুবককে ধরে গণপিটুনি দেয় এবং পরে পুলিশে সোপর্দ করে।

পুলিশ বলছে, চলতি মাসের শুরু থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর ১৫ স্থানে ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আর গত দুই দিনে নয়টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫০ জনকে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, আগুনসন্ত্রাসসহ অন্যান্য অপরাধ কঠোরভাবে প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তারা বলছেন, অগ্নিসন্ত্রাস-ককটেলবাজিসহ গত কয়েকদিনের বেশ কয়েকটি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। এসবের সঙ্গে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের যোগসাজশ আছে।

কাকরাইলে চার্চের সামনে বিস্ফোরণে ছাত্রলীগের ক্যাডার আটক
কাকরাইলে চার্চের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এছাড়া ঘটনাটির পর রাজধানীর সব গির্জা এবং সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম বলেন, এনসিপি কার্যালয়ের সামনে মোটরসাইকেলযোগে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতা মোটরসাইকেলে থাকা মাসুদুর রহমান (২৮) এক যুবককে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কতজন ছিল, সব বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই যুবকের কাছ থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

নাশকতার নেপথ্যে আ.লীগের ১৩ নভেম্বরের ‘লকডাউন’ 
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ভারতে পলাতক আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করা হবে ১৩ নভেম্বর। দিনটিকে ঘিরে ফেসবুক, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের অ্যাক্টিভিস্টদের নানা উসকানিমূলক প্রচারণা দেখা যাচ্ছে।

এরই মধ্যে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর ‘লকডাউন’ ঘোষণা দিয়েছে। ওই কর্মসূচির ঘোষণা ঘিরে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের গুজব ও অপপ্রচার। যার মধ্যে রয়েছে গণসমাবেশ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের প্রচারণা।

গ্রেপ্তারদের কাছে পাওয়া তথ্য এবং পরিচয় যাচাই করে দেখা যায়, তাদের অধিকাংশই ঢাকার বাইরে থেকে আসা। অর্থের বিনিময়ে তারা ঢাকায় এসে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করে এবং আবার ঢাকার বাইরে চলে যায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, কিছুদিন ধরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রচেষ্টা করছে, বিশেষ করে ঢাকা শহরে। গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল সদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ এবং বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোসহ আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ১৪টি ঝটিকা মিছিল করে তারা এবং স্বল্পস্থায়ী এসব ঝটিকা মিছিলের ছবি সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে। অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত ঝটিকা মিছিলের পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অংশগ্রহণকারী ৫৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি। গ্রেপ্তারদের কাছে পাওয়া তথ্য এবং পরিচয় যাচাই করে দেখা যায়, তাদের অধিকাংশই ঢাকার বাইরে থেকে আসা। অর্থের বিনিময়ে তারা ঢাকায় এসে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করে এবং আবার ঢাকার বাইরে চলে যায়। গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, হেলমেট ও মাস্ক পরে তারা ভোর বা দিনের ব্যস্ত সময়ে টার্গেটকৃত স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা এই কাজে অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও ব্যবহার করছে।

সঙ্গে সঙ্গে অপরাধ প্রতিহত করা হবে: ডিএমপি
সাম্প্রতিক অগ্নিসন্ত্রাস-ককটেলবাজির বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও ককটেল বিস্ফোরণ যারা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া ১৩ নভেম্বরকেন্দ্রিক হুংকারের ঘটনায় যে কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ড সঙ্গে সঙ্গে প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় অনেক জায়গায় একসঙ্গে একের অধিকও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই বিস্ফোরণগুলো যারা ঘটাচ্ছে অধিকাংশই হেলমেট পরে বাইকে করে এসে ঘটিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কয়েকটি বাসে আগুন লাগানোর ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। ১৩ নভেম্বর নিয়ে ভিডিও বার্তায় যারা হুংকার দিয়েছে, সেসব ফ্যাসিবাদ গোষ্ঠীই এসব কাজ করছে। পুলিশের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে ও চেক পোস্টসহ নানা রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মাঠে র‌্যাব
র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, রাজধানীতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িসহ কয়েকটি বাসে আগুন লাগানোর ঘটনায় অলরেডি র‍্যাবের গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে। এ ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন চার্চের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়েও কাজ করছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষ থেকে ১৩ নভেম্বর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শাটডাউনসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটানোর ডাক দিতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অগ্নিসন্ত্রাস, ককটেল বিস্ফোরণসহ নানা রকম অপরাধ দমনে বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে।

র‍্যাবের পক্ষ থেকে ছক করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানসহ নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে, যেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারে ফ্যাসিবাদরা সেসব জায়গায় নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে র‍্যাবের আনুমানিক দুইশ পেট্রোল টহল ডিউটিতে নিরাপত্তার কাজ শুরু করেছে।

এ ছাড়া সন্ত্রাসী পর্যায়ক্রমে যেসব জায়গায় চালানো হতে পারে সেসব জায়গায় আর গতিশীল-শক্তিশালী চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জসহ ও অন্যান্য স্থানে ৭০টি চেকপোস্টে কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া দেশজুড়ে র‍্যাবের ১৫ ব্যাটালিয়নকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক ১৩ নভেম্বর অপরাধ কার্যক্রম প্রতিরোধ ও যানবাহনে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণসহ সব রকম অপরাধ সঙ্গে সঙ্গে মোকাবিলার জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কেউ অপরাধ ঘটিয়ে অথবা অপরাধ ঘটনার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়, এর জন্য র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সেখানে লোকবল বাড়িয়ে এক্সপার্ট সাইবার ক্রাইম টিম ২৪ ঘণ্টায় এসব মনিটরিং করছে। পাশাপাশি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপরাধ চিত্রগুলো পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে শেয়ার করা হচ্ছে।

ফ্যাসিবাদীদের গণপ্রতিরোধের ডাক
কথিত ‘লকডাউন’ ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এ ধরনের নাশকতা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা রকমের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

এরই মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ১৩ নভেম্বর রাজপথে থাকার কথা জানিয়েছেন। ঢাকায় জাতীয়তাবাদী যুবদল আওয়ামী লীগের নাশকতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও করেছে। ১২ ও ১৩ নভেম্বর মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

এছাড়া ‘জুলাই ঐক্য’ ১৩ নভেম্বর দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। আগের দিন ১২ নভেম্বর ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে’ ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল করবে তারা।

সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের মোকাবিলায় বাঁশের লাঠি নিয়ে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানান।

সহিংসতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসে আগুন ও ধর্মীয় স্থাপনাসহ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করছে। যারা অতীতে অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বক্তব্য-বিবৃতিবাজি করেছে, তারাই এখন সে ধরনের নাশকতায় জড়িত হওয়ায় জনমনে তাদের অতীতের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

সাধারণ মানুষকে নিজের নিরাপত্তার প্রশ্নে সতর্ক থাকা এবং কোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতার উপস্থিতি লক্ষ্য করলে একত্রিত হয়ে মোকাবিলা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন এবং ধর্মীয় স্থাপনাসহ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। হাজিরা দিতে এসে দিনে-দুপুরে সবার সামনে একজন ব্যক্তি সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হলেন, যা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে। অতীতে সন্ত্রাসীরা নানা ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি করে মানুষকে আতঙ্কিত করে এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের সহিংস পন্থা বেছে নিয়েছে বলে উদাহরণ আছে, যা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বর্বরোচিত।

এই পরিস্থিতি যত বেশি সৃষ্টি হবে সাধারণ মানুষ তত বেশি আতঙ্কিত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে রাজনৈতিক পরিচয়সহ কোনো ধরনের বিবেচনা গণ্য না করা।

নির্বাচন ও নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রশ্নে সমন্বিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন জানিয়ে ড. তৌহিদুল হক বলেন, সাধারণ মানুষকে নিজের নিরাপত্তার প্রশ্নে সতর্ক থাকা এবং কোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতার উপস্থিতি লক্ষ্য করলে একত্রিত হয়ে মোকাবিলা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক দায়িত্বশীল ভূমিকা সব প্রকার সংঘাত-সহিংসতা থেকে পরিত্রাণের ও প্রতিরোধের শক্তিশালী উপায়।

সব সময় পেটে গ্যাস? শীতকালীন কোন সবজি এড়িয়ে চলবেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:৪৩ অপরাহ্ণ
সব সময় পেটে গ্যাস? শীতকালীন কোন সবজি এড়িয়ে চলবেন
শাক-সবজি খেয়েও গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যায় ভুগতে হয় অনেক সময়। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এই সমস্যার মুখোমুখি হন অনেকেই। বিশেষত শীতের সবজি খেলে পেটের সমস্যা বাড়ে। তেল-মসলাদার খাবার না খেয়েও পেট গ্যাসে ফুলে যায়।

ফাইবারের মাত্রা বেশি

ক্রুসিফেরাস সবজি আদতে স্বাস্থ্যকর।

এতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। কিন্তু আপনি যদি ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম বা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকে, তাহলে জটিলতা তৈরি করে ক্রুসিফেরাস সবজি। এই ধরনের সবজিতে যে ফাইবার রয়েছে, তাই আইবিএস-এর রোগীদের পক্ষে হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। ক্রুসিফেরাস সবজি অনেক সময়ে হজম হয় না, কিংবা হজম হতে সময় নেয়।
তখনই গ্যাস, পেটফাঁপার সমস্যা বাড়ে। 

কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট

কপিজাতীয় সবজির মধ্যে রাফিনোজ নামের একটি কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এটি অন্ত্রে সহজে হজম হয় না। তার পরে কোলনে পৌঁছে গ্যাস, পেট ফাঁপা, বদহজমের মতো সমস্যা ডেকে আনে।

কিভাবে রান্না করলে কপিজাতীয় সবজি সহজপাচ্য হবে

বাঁধাকপি, লেটুসের মতো সবজি অনেকেই কাঁচা খান।

আবার ব্রকলি, ফুলকপি অল্প ভাপিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। কিন্তু কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ ক্রুসিফেরাস সবজি একেবারেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এতে পেটের সমস্যা হবেই হবে। 

তাই বদহজম এড়াতে হলে কপিজাতীয় সবজি ভালো করে সিদ্ধ করে খাওয়া উচিত। যদি আইবিএস বা গ্যাস-পেটফাঁপার সমস্যা থাকে, তাহলে কম পরিমাণে কপিজাতীয় সবজি খান। কপির তৈরি সবজিতে হিং, আদা, জিরার মতো উপাদান ব্যবহার করুন, যাতে পেটে গ্যাস না হয়।

ভোলায় ৩০ ঘণ্টায় ১০ মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
ভোলায় ৩০ ঘণ্টায় ১০ মৃত্যু

গত ৩০ ঘণ্টায় পৃথক ঘটনায় ভোলায় ১০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কেউ আত্মহত্যা করেছেন, কেউবা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। একের পর এক এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো জেলায়। ভোলাবাসীর মধ্যে শোকের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ২ জন, দৌলতখানে ১ জন, লালমোহনে ৪ জন, তজুমদ্দিনে ১ জন এবং চরফ্যাশনে ২ জন রয়েছেন।



পৃথক ঘটনায় নিহতদের বিবরণ
আত্মহত্যা (৪ জন)
ভোলা সদর: ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চৈতী রানী দাস (২৫) নামের এক গৃহবধূ রোববার রাত ১০টার দিকে নিজ ঘরের জানালার গ্রিলে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি দুবাই প্রবাসী সুভাষ চন্দ্রের স্ত্রী। একই উপজেলার পশু চিকিৎসক সুমন চন্দ্র দে (৩৫) সোমবার দুপুরে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।

দৌলতখান: পশ্চিম জয়নগর গ্রামে রাফি (১৬) নামের এক দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু (৬ জন)
পানিতে ডুবে (৩ জন): লালমোহন উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে চরভূতা ইউনিয়নে ১৮ মাস বয়সী আলিফ এবং কালমা ইউনিয়নে নুসরাত ও মোহনা নামের দুই শিশু খেলাধুলার সময় পরিবারের অগোচরে পুকুরে পড়ে মারা যায়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে (২ জন): চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কৃষকদের পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে জুবায়ের ইসলাম (১৪) ও জিহান (১৫) নামের দুই স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তারা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।



অটোরিকশার ধাক্কায় (১ জন): তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে সোমবার সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় অটোরিকশার ধাক্কায় ইভা মনি (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।

অন্যান্য (১ জন): লালমোহন পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সোমবার সকালে রিজিয়া বেগম (৬০) নামের এক পরিচ্ছন্নকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

প্রতিটি ঘটনার সত্যতা সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। হঠাৎ করে এতগুলো মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করে নানা আলোচনা চলছে।