খুঁজুন
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে ‘কাজে লাগিয়ে’ নিজেদের অস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল চীন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে ‘কাজে লাগিয়ে’ নিজেদের অস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল চীন

চীন গত মে মাসে ‘সুযোগ বুঝে’ ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার ‘পরীক্ষা ও প্রচারের’ জন্য কাজে লাগিয়েছে। দ্বিদলীয় মার্কিন কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউএস-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং চার দিনের এই সংঘাতকে কাজে লাগিয়ে তাদের আধুনিক অস্ত্রের পরীক্ষা ও বিজ্ঞাপন চালিয়েছে। ভারতের সঙ্গে তাদের চলমান সীমান্ত উত্তেজনা ও তাদের সম্প্রসারিত প্রতিরক্ষা শিল্পের লক্ষ্য পূরণে এটি সহায়ক হবে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘এই সংঘর্ষে প্রথম চীনের আধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা—যার মধ্যে রয়েছে এইচকিউ–৯ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, পিএল–১৫ আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং জে–১০ যুদ্ধবিমান সক্রিয় যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি বাস্তব অর্থে মাঠের পরীক্ষা হিসেবে কাজ করেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরপর চীন নাকি জুনে পাকিস্তানকে জে–৩৫ পঞ্চম প্রজন্মের ৪০টি যুদ্ধবিমান, কেজে–৫০০ বিমান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল।

কমিটির শুনানি ও গবেষণা এবং প্রকাশ্যে আসা তথ্য ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাতের কয়েক সপ্তাহ পর চীনের দূতাবাসগুলোও ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে তাদের অস্ত্রব্যবস্থার ‘সাফল্যের’ প্রশংসা করে, যা ‘অস্ত্র বিক্রি বৃদ্ধির’ চেষ্টা ছিল।

প্রতিবেদনটিতে আরও দাবি করা হয়েছে, মে মাসের এই সংঘাতকে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ বলা হলে ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে চিনের ভূমিকাকে বাড়িয়ে বলা হবে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুসারে, চীন ফরাসি রাফাল বিপক্ষে তাদের নিজস্ব জে–৩৫-এর পক্ষে ভুয়া প্রচার শুরু করে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং ভিডিও গেমের ছবি প্রচার করে দাবি করে, সেগুলো চীনের অস্ত্রে ধ্বংস হওয়া যুদ্ধবিমানগুলোর ‘ধ্বংসাবশেষ’।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা ইন্দোনেশিয়াকে ফ্রান্সের সঙ্গে প্রক্রিয়াধীন থাকা রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি থামাতে রাজি করিয়েছিলেন।

তবে, চীন এসব প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া তথ্য’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং রাফাল নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের বিষয়ে ব্রিফিংয় এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আপনারা যে তথাকথিত কমিশন’-এর কথা বলছেন, তারা সবসময় চীনের প্রতি আদর্শগত বিদ্বেষ পোষণ করে। তাদের বলার মতো বিশ্বাসযোগ্য কোনো কিছু নেই।

 

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্রগোষ্ঠীর হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল।

ভারত এই হামলায় জড়িতদের পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলে ভারত অভিযোগ করে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়। গত ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে বসে। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা আঘাত করে।

পাল্টাপাল্টি হামলার পর দুইপক্ষের মধ্যে সংঘাত বেঁধে যায়। এই সংঘাত চার দিন ধরে চলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর মধ্যস্থতায় ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদি সরকার ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করেছে। নয়াদিল্লি দাবি করেছে, ভারত–পাকিস্তান কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত বন্ধে রাজি হয়।

পাথরঘাটায় কোস্ট গার্ডের অভিযান: হরিণের চামড়া ও ৩ কেজি মাংস জব্দ

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:০৩ অপরাহ্ণ
পাথরঘাটায় কোস্ট গার্ডের অভিযান: হরিণের চামড়া ও ৩ কেজি মাংস জব্দ

বরগুনার পাথরঘাটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে প্রায় ৩ কেজি হরিণের মাংস ও দুইটি চামড়া জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাথরঘাটা হরিণঘাটা সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে হরিণ শিকারিরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয় হরিণের মাংস ও চামড়া।

কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আবুল কাশেম জানান, জব্দকৃত মাংস ও চামড়া পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপের জন্য পাথরঘাটা ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা ডিসেম্বরে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৫১ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা ডিসেম্বরে

ডিসেম্বর মাস থেকে করাচি ও ঢাকার মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন খান জানিয়েছেন, মাহান এয়ার সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে। তার মতে, এই উদ্যোগ দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগেও নতুন গতি যোগ করবে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এলসিসিআই) বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন খান জানান, দুদেশের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। এখন এলসিসিআই এবং লাহোরে বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুলেটের যৌথ সুপারিশে তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই ভিসা দেওয়া হবে।  এতে দুদেশের মানুষের যাতায়াত আরও দ্রুত ও সহজ হবে।

বাণিজ্য সম্ভাবনার বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করতে পারে এবং বাংলাদেশ পাকিস্তানে তাজা আনারস সরবরাহ করতে পারে। পাশাপাশি টেক্সটাইল ও রেডিমেড গার্মেন্টস খাতেও বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, খুব শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কার্গো সার্ভিস চালু করা হবে। গত ডিসেম্বর থেকে আংশিক কার্গো সেবা চালু থাকলেও বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ায় এখন একটি সরাসরি রুটের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

 

শিক্ষা খাতে সহযোগিতার প্রসঙ্গে ইকবাল হুসাইন খান বলেন, পাকিস্তানের হায়ার এডুকেশন কমিশন শিগগিরই বাংলাদেশে প্রতিনিধি দল পাঠাবে। এতে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন, যার লক্ষ্য হবে আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষায় আকৃষ্ট করা। তিনি পাকিস্তানের পর্যটন সম্ভাবনা ও দুই দেশের অভিন্ন সংস্কৃতি ও ইতিহাসের কথাও উল্লেখ করেন।

এলসিসিআই সভাপতি ফাহিমুর রহমান সাইগল সভায় বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন দীর্ঘদিনের। তিনি জানান, পাকিস্তান বাংলাদেশে চাল রপ্তানি আরও বাড়াতে পারে এবং তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ থেকে অভিজ্ঞতা নিতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি, অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন খাতেও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।

বর্তমানে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার, যা আগামী কয়েক বছরে ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। সাইগল বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে বাণিজ্য আরও গতি পাবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে এলসিসিআই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই এলসিসিআই–এর একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবে।

তিন পদে ৮২৬ বিচারকের পদোন্নতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
তিন পদে ৮২৬ বিচারকের পদোন্নতি

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বড় সংখ্যায় পদোন্নতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সারা দেশে একসঙ্গে ৮২৬ বিচারককে পদায়ন ও বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে উপসচিব এ এফ এম গোলজার রহমান স্বাক্ষরিত বদলি ও পদোন্নতির পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পদোন্নতির পর তাদের নতুন কর্মস্থলে পদায়নও করা হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৬’ এর বেতন স্কেলের প্রথম গ্রেডে ৭০,৯২৫-৭৬,৩৫০ বেতনক্রমে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিয়ে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিয়োগ/বদলি করা হলো।

প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি পদে মোট পদোন্নতি ও পদায়ন হয়েছেন ৮২৬ জন। এর মধ্যে অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ ২৫০ জন, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ ২৯৪ জন ও সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ ২৮২ জন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বদলি হওয়া বিচারকদের দপ্তরপ্রধান কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ২৭ নভেম্বর বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রশিক্ষণ, মাতৃত্বকালীন ছুটি, বহিঃবাংলাদেশ ছুটিতে থাকা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদান করে কার্যভার হস্তান্তর করে অবিলম্বে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।