বাবুগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মী নিহত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বরিশালে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর কাশিপুর বাজার এলাকায় এই কার্যক্রমের আয়োজন করেন বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও যুব নেতা মোঃ কাজী সজল।
স্থানীয় দরিদ্র, ভাসমান ও অসহায় মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন কাজী সজল ও তার সহযোদ্ধারা। শীতের শুরুতেই এমন উদ্যোগে জনসাধারণের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটে ওঠে।
এ সময় মোঃ কাজী সজল বলেন, “তারেক রহমান দেশে না থাকলেও জনগণের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকেই আমরা এমন সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকি। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব।”
তিনি আরও জানান, ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে এবং এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এছাড়া শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ। তারা জানান, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও দলের নেতাকর্মীরা ভূমিকা রেখে চলেছে।
কাশিপুর বাজার এলাকায় শীতবস্ত্র পেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে ছিল খুশির ঝিলিক। শীতের দিনে এই সহায়তা তাদের জন্য বড় উপহার বলে জানান তারা।
বরিশাল নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডস্থ গড়িয়ারপাড় এলাকায় বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার এর নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এ সময় তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনার মূল ধারনাগুলো জনসাধারণের কাছে ব্যাখ্যা করেন।
সরোয়ার বলেন, “বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক ও মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাষ্ট্রে পরিণত করতে ৩১ দফা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে সরোয়ারের সাথে ছিলেন ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সজীব বেগ মিসাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী নিজাম উদ্দিনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নেতারা বলেন, জনগণের সাথে বিএনপির সরাসরি সম্পৃক্ততা বাড়াতে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের এই দফাগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় এলাকাবাসী সরোয়ারের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার পাশাপাশি জনগণের মতামত ও প্রত্যাশা বোঝার এই উদ্যোগ প্রয়োজন ছিল অনেক আগেই।
বরিশালের বিভিন্ন নদী, খাল, বিল ও জলাশয়ে অসাধু চক্র বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। গত এক মাসে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া, বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর, উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় একাধিকবার বিষ দিয়ে মাছ শিকারের ঘটনা ঘটেছে। কীটনাশক প্রয়োগের ফলে শুধু মাছ নয়, ব্যাঙ, শামুক, কাঁকড়াসহ পুরো জলজ পরিবেশ হুমকিতে রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলা, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ,বাবুগঞ্জ, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদী, খাল ও বিলে রাতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে অসাধু চক্রগুলো। কিছু জেলেরা রাতের বেলা প্রান্তিক এলাকায় গিয়ে নদীর একটি বিশেষ স্থানের পানিতে বিষ মিশিয়ে দেয়। ১ থেকে দু ঘণ্টা পর মাছেরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক মাছ মারাও যায়। মাছেরা অসুস্থ হয়ে পানিতে ভেসে বেড়ায়। এ সময় জাল দিয়ে অসুস্থ এবং মৃত মাছগুলোকে তুলে আনেন তারা। এই বিষ কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদ নদীর পানিতে মিশে যায়। এতে নদ নদীর মাছ সহ জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। বিষ ঢুকছে মানুষের খাদ্যশৃঙ্খলেও । বিষ দিয়ে শিকার মাছ খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে ।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বিষ দিয়ে পানি বিষাক্ত করে শিকার করা মাছ খেলে মানুষের পেটের পীড়াসহ কিডনি ও লিভারে জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিষ দিয়ে শিকার মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ না হলে জলজ প্রাণবৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব পড়বে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বীষ প্রয়োগ পরিবেশের উপর সরাসরা আঘাত হানে। পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলে। এটি টক্সিক পদার্থ। এতে শুধু মাছ মারা যায় না, প্রয়োজনীয় অনেক জলজ প্রানী ও উদ্ভিদ মারা যায়। পানির গুনাগুন নষ্ট হয়। এই পানি চাষের জন্য ব্যবহার করলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া বিষ বাতাসের সাথে মিশে বয়স্করা শ্বাসককষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের তথ্য আমার জানা নেই। সুনিদিষ্ট অভিযোগ বা তথ্য পেলে অবশ্যই মৎস সুরক্ষা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন
Array