খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭ কার্তিক, ১৪৩২

কলাপাড়ায় তদারকি নেই টিসিবির কার্যক্রমে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
কলাপাড়ায় তদারকি নেই টিসিবির কার্যক্রমে

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তদারকির অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের টিসিবির কার্যক্রম। ফ্যামিলি কার্ড এক্টিভেট না থাকার অজুহাতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর সুবিধার আওতায় আসছেনা দুই তৃতীয়াংশ উপকারভোগী পরিবার। এতে নিত্য পন্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপকারভোগী পরিবারের মাঝে নির্ধারিত মূল্যে নিত্য পন্য সরবরাহে টিসিবি’র পরিচালিত কার্যক্রম কোন কাজে আসছে না।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় কলাপাড়া পৌরসভার সামনে দেখা যায় টিসিবির পন্যবাহী মিনি ট্রাক জনশূন্য দাড়িয়ে আছে। টিসিবির ডিলার ও তার কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন। একটু সময় পরে দেখা যায় দু’একজন উপকারভোগী আসতে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত মোট ৩৩জন উপকারভোগীকে পন্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।

এছাড়া পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারীদের কক্ষে টিসিবি’র পন্য দেখা গেছে। তাদের বক্তব্য, তাদের কাছে উপকার ভোগী পরিবারের সদস্যরা কার্ড দিয়ে গেছে। এবং তাদের পন্য ছাড়িয়ে রেখেছেন, যা তারা এসে নিয়ে যাবেন। তবে এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকে দেখা যায় নি।

সূত্র জানায়, কলাপাড়া পৌরসভার টিসিবির উপকারভোগী তালিকা তৈরীতে ব্যাপক স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম করা হয়েছে। সাবেক মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ তাদের ভোটের রাজনীতির স্বার্থে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের নাম বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দ মতো তালিকা তৈরী করেছেন। সেই তালিকা দিয়ে এখনও চলছে টিসিবির কার্যক্রম।

সূত্রটি আরও জানায়, কলাপাড়া পৌরসভায় টিসিবির তালিকাভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ১৭৭০। এর মধ্যে ৩২০ জনের ফ্যামিলি কার্ড এক্টিভেট রয়েছে, বাকি কার্ডগুলো এখনও এক্টিভেট হয়নি। প্রতিমাসে উপকারভোগী পরিবার কার্ডের মাধ্যমে একবার ৫ কেজি চাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি ডাল, এক কেজি চিনি কিনতে পারছেন ৫৪০ টাকা প্যাকেজ মূল্যে। প্রতি মাসেই টিসিবি ডিলার পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে এলেও অধিকাংশ পণ্য ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেক ব্যবসায়ীর কাছে গোপন সখ্যতায় পন্য বিক্রির গুঞ্জন থাকলেও টিসিবি ডিলার বলছেন তারা ফেরত পন্য টিসিবি গুদামে জমা দিয়ে দিচ্ছেন।

এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় পৌরসভার সামনে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়, যা চলে সন্ধ্যে পর্যন্ত। ওইদিন ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে এসেও পণ্য না পেয়ে ফিরে যান ৫ নং ওয়ার্ডের দিনমজুর সুবাস সিকদার (৭৭), রজনী সিকদার (৫৫), তপন কুমার দাস (৬২)।

এ বিষয়ে টিসিবির ডিলার শাওন শামসুদ্দোহা ট্রেডিং এর কর্ণধার মো. শাওন বলেন, আজ ২১ অক্টোবর বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত ১১০ জন উপকার ভোগী নির্ধারিত প্যাকেজ মূল্যে টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করেছেন। বিতরন কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা সন্ধ্যে নাগাদ পর্যন্ত চলবে। গত মাসে পন্য বিতরন করেন অপর ডিলার মো. হুমায়ুন কবির।

শাওন আরও বলেন, যাদের কার্ড এক্টিভেট করা নাই তাদের পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফেরত পন্য নিয়ে টিসিবি গুদামে জমা রাখা হবে।

কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা কাব্যলাল চক্রবর্তী বলেন, পৌরসভার টিসিবির কার্যক্রম তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওয়ালি উল্লাহ। তিনি এ বিষয়ে ভালো জানেন।

কলাপাড়া ইউএনও ও পৌরসভার প্রশাসক মো. কাউছার হামিদ বলেন, ‘আমি সরকারী প্রশিক্ষণে গোপালগঞ্জ রয়েছি। টিসিবির কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

 

তাহেরের নেতৃত্বে যমুনায় জামায়াতের প্রতিনিধিদল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২২ অপরাহ্ণ
তাহেরের নেতৃত্বে যমুনায় জামায়াতের প্রতিনিধিদল

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল।

আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটি যমুনায় পৌঁছায়।

জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।

বৈঠকে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:০২ অপরাহ্ণ
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) মাস্টার প্যারেড গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। রুপাতলিস্থ পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এ প্যারেডে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন বিএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম।

প্যারেড পরিদর্শনকালে পুলিশ কমিশনার অফিসার ও ফোর্সদের সার্বিক শৃঙ্খলা, পোশাক পরিচ্ছদ (ড্রেসরুলস) ও কুচকাওয়াজ প্রদর্শনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব পুলিশের মূল ভিত্তি। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন, খেলাধুলা ও প্যারেডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফিটনেস ও মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখতে হবে। তিনি অফিসার ও ফোর্সদের প্রতি পেশাদার আচরণ, নাগরিকবান্ধব সেবা প্রদান এবং দায়িত্ব পালনে সততা, নিষ্ঠা ও মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখার নির্দেশনা দেন।

এছাড়া নিয়মিত খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও প্যারেড অনুশীলনের মাধ্যমে মনোবল ও দলীয় চেতনা আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম। প্যারেডে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মোঃ আব্দুল হান্নান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) সুশান্ত সরকার, পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক/সিএসবি) মোঃ শরফুদ্দীন, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইনসহ বিএমপি’র অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন পদ-পদবীর পুলিশ সদস্যগণ।

সাগরে মাছ শিকার: ৬টি ট্রলার জব্দসহ ১০৪ জন আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
সাগরে মাছ শিকার: ৬টি ট্রলার জব্দসহ ১০৪ জন আটক

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের অভিযোগে ছয়টি ফিশিং ট্রলার জব্দসহ ১০৪ জন জেলেকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। গত সোমবার গভীর সাগর থেকে আটক জেলেদের গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে নৌবাহিনীর মোংলার দিগরাজ নৌঘাঁটিতে আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ আহরণের সময় টহলরত নৌবাহিনী গত সোমবার বিকেলে ছয়টি ফিশিং ট্রলার জব্দ করে। জব্দ ট্রলারগুলোতে ১০৪ জন জেলে ছিলেন। এই জেলেরা মূলত বরগুনা, পাথরঘাটা, পটুয়াখালী, রাঙ্গাবালী ও মহিরপুর এলাকার বাসিন্দা।

এ ছাড়া ট্রলারগুলোতে আনুমানিক ৫ টন মাছ পাওয়া গেছে, যার বেশির ভাগই ইলিশ। মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, উদ্ধার হওয়া এসব মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হবে। আটক জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হবে, তবে ট্রলারমালিকদের আর্থিক জরিমানা করা হবে।

উল্লেখ্য, মা ইলিশ রক্ষা ও প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করতে সাগর-নদীতে মাছ শিকার না করতে ২২ দিনের (৪ থেকে ২৫ অক্টোবর) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ায় এ জেলেদের নৌবাহিনী আটক করে।