খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

অনশনকারীদের মারধর করে বের করে দিলেন শেবাচিমের কর্মচারীরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ৬:২০ অপরাহ্ণ
অনশনকারীদের মারধর করে বের করে দিলেন শেবাচিমের কর্মচারীরা

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ (শেবাচিম) স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের মারধর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছেন কর্মচারীরা। এসময় আন্দোলনের সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন রনিকে মারধরের জন্য খুঁজতে থাকেন তারা। তবে কর্মসূচি ঘোষণা করে আজ অনশনস্থলে আসেননি রনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের মাঝের গেটে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে হাসপাতালের সামনে বান্দা রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেন নার্স, টেকনিশিয়ান এবং হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।

আন্দোলনের মুখপাত্র নাভিদ নাসিফ বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকে গণঅনশন ছিল। কর্মসূচিতে আন্দোলনকর্মীরা হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থান করছিলেন। এসময় হাসপাতালের অ্যাপ্রোন গায়ে কর্মচারী-নার্স-টেকনিশিয়ানরা চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে মারধর করেন এবং তার স্বজনদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর তারা অনশনে থাকা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মনির হোসেন বলেন, ‌‘হাসপাতালের কর্মচারীরা একজনকে মারধর করেছেন। এরপর তারা স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকে অবৈধ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগান দিতে দিতে হাসপাতাল কম্পাউন্ড ছাড়াও মূল সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন তারা। সেখান থেকে ফিরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বেদম মারধর করা হয়।’

এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি অফিসে ছিলাম। কারও ওপরে হামলা হয়েছে কি-না তা জানা নেই।’

এদিকে স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন তারা।

বিএম কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা হবে। মেডিকেলের সব সিন্ডিকেট এবং দালালদের নির্মূল করতে সক্ষম হবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।’

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৩ আগস্ট) বরিশালে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলন করে জনভোগান্তি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ঘোষণার পরদিনই আন্দোলনকারীদের ওপর হাসপাতালের কর্মচারীরা হামলা চালালেন।

৮১ দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকা প্রকাশ ইসির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০১ অপরাহ্ণ
৮১ দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকা প্রকাশ ইসির

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে ৮১ দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংস্থাগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ থাকবে পরবর্তী ৫ বছর।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো.রুহুল আমিন মল্লিকের স্বাক্ষরিত এ তালিকা ইসির ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়।

 

এতে বলা হয়েছে, গত ৬ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত প্রথম ধাপের ৬৬ টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে আর দ্বিতীয় ধাপের ১৫ টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে গত ৪ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।

 

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” নষ্ট করছে বিএনপির ছোট একটি অংশ – ব্যারিস্টার ফুয়াদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” নষ্ট করছে বিএনপির ছোট একটি অংশ – ব্যারিস্টার ফুয়াদ

বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতোই রাজনীতি করে যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিহত না করলে আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখির পাশাপাশি দিনে দিনে ভোট কমে যাবে বিএনপির। আর এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিস্টদের মতো তাদেরও পরিণতি হবে। ৮ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন- আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

তিনি বলেন, বাবুগঞ্জে ব্রিজ উদ্‌বোধন কালে বিএনপির কিছু ব্যক্তি আমাকে সহ আমার এবি পার্টির নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রশাসনের সামনে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বিষয়টি ছিল ফৌজদারি অপরাধ। যা পুলিশের সামনে ঘটায় তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে শুধু ২/৩ বার বাঁশি বাজিয়েছে। নির্বাচনের আগেই পুলিশের এমন ভূমিকা। পরবর্তীতে তাদের ভূমিকা কেমন হবে। যখন যে দল আসে পুলিশ তখন সেই দলের দালালি করে। এমনটা চলতে থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

এ ঘটনার দুই দিন আগে মুলাদি উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল এলজিডির সচিব, জেলার ডিসি সহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। সে অনুষ্ঠানও পণ্ড করে দিয়েছে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ। বিএনপির আগামীতে সরকার গঠন করবে- তাই এই দলের নেতাকর্মীরা ছোট দলের সাথে ভালো আচরণ করে তাদের সহযোগিতা করবে এবং যারা হামলা নির্যাতন করে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিবে এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ।

সংবাদ সম্মেলনে ফুয়াদ আরো বলেন, বরিশালের মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের জন্য যে চিনা কোম্পানি টেন্ডার পেয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে যোগাযোগের যে ভাষা ছিল তাতে চীনা কোম্পানি মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি। তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। তবে কোনো দল বা ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলেননি। সেতু উদ্‌বোধনের শেষে তাকে ঘুসি মারার চেষ্টা করা হয়েছে। হেনস্তা করা হয়েছে। গত দুই মাস যাবৎ তার ক্যাম্পেইনে নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনার সাথে যারা যারা জড়িত ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ফুয়াদ।

দেশে এখন “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” নেই জানিয়ে ফুয়াদ বলেন, এই প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য যার যেখানে যতটুকু দায়িত্ব আছে তার সেই দায়িত্ব পালন করা উচিত। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটের পরিবেশ এনসিওর করা। এখনো অনেক নতুন ভোটার ভোটার হতে পারিনি। তাদের জন্য যাতে সময় বৃদ্ধি করা যায় তারও দাবি জানান।

রাশিয়া ইস্যুতে হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন ট্রাম্প?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:১৪ অপরাহ্ণ
রাশিয়া ইস্যুতে হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন ট্রাম্প?

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের নথিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপকে সতর্ক করে বলেছেন,‘পশ্চিমা’ পরিচয় হারিয়ে বসবে তারা, যদি না ভুল শুধরে নেয়। দ্বিতীয় মেয়াদে পদে বসার পর থেকেই ইউরোপের সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প। রাশিয়া ইস্যুতে তাকে বিরাগভাজনও বোঝা যাচ্ছে।

জাতিসংঘে ট্রাম্প পশ্চিম ইউরোপের অভিবাসন ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি নীতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এবার প্রকাশিত নথিতেও সরাসরি সতর্ক করে বসেছেন। তবে এরমাঝেই আরও বড় দাবি এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় ইউনিয়নবিষয়ক সাবেক রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ড।

সাবেক এই রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ইউরোপের ঝামেলা নিজের মাথায় নিতে চান না ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মনে করেন ইউক্রেন ইস্যু ইউরোপের ঝামেলা। তাই এটি সমাধানে ইউরোপের সামনে আসা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রকে সামনে ঠেলা নিয়েও নাকি ট্রাম্প অসন্তোষ জানিয়েছেন।

বিবিসি রেডিও-৪’কে সন্ডল্যান্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা ও সমর্থন দিতে পারে, তবে সামনের সারিতে থাকা উচিত ইউরোপের। ট্রাম্প আসলে সেই দিকেই ইঙ্গিত করছেন।’

সন্ডল্যান্ড বলেন, গত তিন দশক ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যেভাবে ব্যবসা ও কূটনীতি পরিচালিত হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি চান না ট্রাম্প।  তার ভাষায়, আগের নিয়মে চললে যুক্তরাষ্ট্রকেই রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা, চাপ প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে পুতিনকে হুঁমকি দেওয়ার ভূমিকা নিতে হতো। আর এসব ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্রই সংঘাতে জড়াত। ইউরোপ শুধু দেখত। এটাই ট্রাম্প এবার এড়াতে চান।’

কদিন আগে প্রকাশিত ট্রাম্প প্রশাসনের নথিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রসঙ্গেও বলা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ইউরোপে ‘আত্মবিশ্বাসের অভাব’ রয়েছে। ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্রকে উল্লেখযোগ্যভাবে জড়িত থাকতে হবে বলে নথিতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় ইউনিয়নবিষয়ক সাবেক রাষ্ট্রদূত মনে করেন, রাশিয়া ইস্যুতে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র থাকবে সহায়ক চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের দৃষ্টিতে রাশিয়া-সংক্রান্ত যেকোনো বড় উদ্যোগে নেতৃত্ব এখন ইউরোপেরই নেওয়া উচিত, আর যুক্তরাষ্ট্র থাকবে সহায়ক ভূমিকা নিয়ে।’

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কিকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন যে খসড়া শান্তি প্রস্তাব প্রস্তুত করেছে, তা এখনও জেলেনস্কি পড়ে দেখেননি। ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কি এখনও প্রস্তাবটি পড়েননি—এটা বলতে গিয়ে কিছুটা হতাশ বোধ করছি।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যেকোনো মূল্যে যুদ্ধ থামাতে চান। তবে ইউরোপের চাওয়া দেশটির সব অঞ্চল ফিরিয়ে আনা এবং শক্তিশালী অবস্থানে থাকা। যদিও পুতিন এসবের বিরোধী। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আপাতত লন্ডনে আছেন জেলেনস্কি। সেখানে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও জার্মানির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন জেলেনস্কি। এদিকে শান্তি চুক্তি বিলম্ব হওয়ায় রাশিয়া হামলা বাড়িয়েছে।