খুঁজুন
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সাব-জেল’ কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে, খাবার-সাক্ষাৎ বিধি অনুযায়ী: আইজি প্রিজন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:২৯ অপরাহ্ণ
সাব-জেল’ কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে, খাবার-সাক্ষাৎ বিধি অনুযায়ী: আইজি প্রিজন

ঢাকা: আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৫ সেনা কর্মকর্তা যে সাব-জেলে (অস্থায়ী কারাগার) আছেন সেটি কারা কর্তৃপক্ষেরই তত্ত্বাবধানে থাকবে। কারাবিধি অনুযায়ী তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব কারা অধিদপ্তরের এবং তাদের খাওয়া-দাওয়াও এই নিয়মে কারাগার থেকে দেওয়া হবে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে এদিন আদালতে হাজির হলে ওই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল। আদালতের আদেশের পর তাদের ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডে সাব-জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

আইজি প্রিজন জানান, ওই বন্দিদের নিরাপত্তায় কারাগার থেকে কারারক্ষী ও কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন। কারা বিধি অনুযায়ী বন্দিদের দেখাশোনার দায়িত্ব কারা অধিদপ্তর থেকেই এবং তাদের খাওয়া-দাওয়াও একই নিয়মে কারাগার থেকেই দেওয়া হবে। তাদের কোনো স্বজন দেখা করতে চাইলেও অনুমতি সাপেক্ষে কারাবিধি অনুযায়ী দেখা করার ব্যবস্থা করা হবে। বাইরে থেকেও কোনো খাবার দেওয়া হলেও এই বিধি অনুযায়ী পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলো দেওয়া হবে।

পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আমলে গুম-খুন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে বুধবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের ‘সাব-জেল’ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে  নেওয়া হয়। পরে আদালত ওই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্য পলাতক আসামিদের বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।

এ তিন মামলায় ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানা যায়।

গত ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে আছেন। চার্জশিটে প্রায় ২৫ সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে। এর মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন, এলপিআরে একজন এবং কর্মরত আছেন ১৫ জন। যারা অবসরে গেছেন, তাদের ক্ষেত্রে আমাদের সেনা আইন প্রযোজ্য নয়।

আদালতের আদেশে সাব-জেলে বন্দি ১৫ সেনা কর্মকর্তা হলেন- র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল কে এম আজাদ ও র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

এছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) মেজর জেনারেল শেখ মো.সারওয়ার হোসেন, বিজিবির সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর রাফাত বিন আলম মুন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে অঙ্গীকার নিয়ে ধানমন্ডির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এমন দাবি করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত ৫৪ বছর ও ১৫ বছরের জঞ্জাল কাটিয়ে উঠে চট করে দুর্নীতিমুক্ত দেশ করা সম্ভব নয়। এর জন্য সময় লাগবে। দেশে দুর্নীতি বেড়েছে না কমেছে, সে হিসেব টিআইবি এখনও করেনি। তবে দুর্নীতি অব্যাহত আছে।

নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে টিআইবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ক্যাপিটাল পেশিশক্তি, অর্থ ও ধর্মের বিষয়ে নির্বাচনি ইশতেহারে পরিষ্কার করা উচিত।’

সরকার পরিচালনায় দুর্নীতি প্রতিরোধ, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনে দলগুলোর অবস্থান ইশতেহারে তুলে ধরা উচিত বলেও মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

 বরিশাল শহরের ফকিরবাড়ি এলাকায় জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত শতবর্ষী পুকুরটি রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ভরাটের অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কর্পোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে বালুমাটি এনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে রাতারাতি পুকুর ভরাটের সত্যতা মিলেছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ প্রদান করেছে। নোটিশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জলাধার ভরাট সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং অতি দ্রুত পুকুর পুনরুদ্ধার ও সৌন্দর্যবর্ধনের প্রতিশ্রুতি দেন। ইয়ুথনেট গ্লোবালের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান শুভ বলেন, “বরিশালে সামান্য বৃষ্টিতেই ফকিরবাড়ি, কালিবাড়ি ও আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে যায়।

 

এ অবস্থায় এই পুকুরটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ জলাধার। বিস্ময়ের ব্যাপার—এত বড় ক্যাম্পাসে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ভারী বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিল এই পুকুরটি। অজানা কারণে রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে পুকুরটি পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।” পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুদ্দিন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভরাটের সত্যতা পাই। আমরা লিখিত নোটিশ পাঠিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে পুকুর পুনরুদ্ধার না করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বরিশালের নগর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ ধরনের জলাধারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধভাবে জলাধার ভরাটের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ও নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

ভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তারিখটিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ইসি। তবে ৮ ফেব্রুয়ারিকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এক নির্বাচন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা তফসিল ঘোষণার তারিখ ও ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করেছি। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।

 

কবে ভোট হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি নির্দিষ্ট তারিখ বলব না, কারণ তাতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে পড়ব। তবে ভোটের জন্য দুটি নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারি—একটি ৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার), আরেকটি ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। এ দুই তারিখের একটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেটি আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিংবা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)।

 

তফসিল বা ভোট পিছাতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জটিল কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে তফসিল পেছাবে না। আর যদি কোনো কারণে তফসিল পিছিয়েও যায়, তারপরও ভোট নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে, কারণ আমাদের হাতে এখনো অনেক সময় আছে।

 

তফসিল ঘোষণা ও ভোটের তারিখ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান  বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ভোটের কয়েকটি তারিখ আলোচনা করেছি। আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) এ নিয়ে বৈঠক হবে। রোববারের সিদ্ধান্তের পর থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।

 

ইসি জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একটি রেওয়াজ আছে। সেই রেওয়াজ ভাঙা হবে না। তবে তফসিল ও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কমিশন। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।

সূত্র জানায়, আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ৮ কিংবা ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।

 

 

সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সময়সূচি ঘোষণার আগে প্রতিবারই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই এবারও সেই রেওয়াজ বজায় রেখে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ১০ ডিসেম্বর ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাতের পর ওই সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ইতোমধ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের খসড়াও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।

ইসি সূত্র জানায়, ঘোষণায় বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ভোটারের নিরাপত্তা, আচরণবিধি প্রতিপালনসহ নানা নির্দেশনা থাকবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দল ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।

এর আগে জানানো হয়েছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের জন্য পৃথক রঙের দুটি ব্যালট দেওয়া হবে। একই দিনে দুটি নির্বাচন হওয়ায় এবার ইসিকে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

 

জানা যায়, আগের ১২টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দ্বিতীয়, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। অষ্টম ও নবম নির্বাচন হয়েছে সোমবার। প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম নির্বাচন হয়েছে বুধবার। আর চতুর্থ ও ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। সার্বিক হিসাবে ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখই বেশি আলোচনায় রয়েছে।

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সরকার থেকে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার, অতিরিক্ত গোপন কক্ষ, বাজেট বৃদ্ধি—এমন আরও বেশ কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন-বিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও শেষ হয়েছে। এখন বাজেট নিয়ে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন।